বাংলার প্রতিদিন ডটকম ঃ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ১৬টি গাড়ির মধ্যে ২টি গাড়ি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেছে বিশ্বব্যাংক। শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।সোমবার সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা গাড়িগুলো জমা দেন। গাড়িগুলো হচ্ছে টয়োটা আরএভি-৪ এসইউভি এবং সেডান। গাড়িগুলোর নাম্বার প্লেট হচ্ছে এজব-০৯২ ও এজব-০৭১। গাড়ি দুটির ব্যবহারকারী ছিলেন ফিনল্যান্ডের মির্ভা তুলিয়া ও ভারতের নাগরিক মৃদুলা সিং।মির্ভা তুলিয়া ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ে কমিউনিকেশনস স্পেশালিস্ট এবং মৃদুলা সিং ২০১৩ সালের মার্চ থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সিনিয়র সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশে অবস্থানের সময় তারা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য গাড়ি দুটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কিনেছিলেন।শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিশ্ব ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আনা ১৬টি গাড়ির বিষয়ে জানতে চেয়ে বুধবার অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। গাড়িগুলো কারা ব্যবহার করতেন, তারা এখন কোথায় আছেন এবং গাড়িগুলোর সর্বশেষ অবস্থা কী? এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য ৭ দিন সময় দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।২০০৩ সালের প্রিভিলেজড পারসনস (কাস্টমস প্রসিডিউর) রুলসের আওতায় বাংলাদেশে কর্মরত দাতা সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করতে পারেন।এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মিশন হেডের সুপারিশ থাকতে হয় এবং এনবিআর ওই গাড়ির বিপরীতে একটি পাসবুক দেয়। ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে চলে গেলে তাকে গাড়ি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ও ওই পাস বইয়ের তথ্য কাস্টমসের নিবন্ধন খাতায় লিপিবদ্ধ করে যেতে হয়। ওই সুবিধার আওতায় ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৯ সালে বিশ্ব ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নামে বিভিন্ন মডেলের ১৬টি গাড়ি আনা হয়। তবে সে কর্মকর্তারা দেশ ত্যাগ করলেও শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরকে কোন তথ্য দেয়নি বিশ্বব্যাংক।