মহিনুল ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধি ঃ
নীলফামারীর ডিমলায় সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে স্থানীয় শহিদ মিনার চত্তরে
মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাচাই স্থগিত হওয়ায় ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রকাশের
দাবীতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাগন আমরন অনশন শুরু করেছে। ১৯৭১ সালের ৬নং সেক্টরের
অধিনে রঙ্গাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা (এফএফ) বৃন্দের আয়োজনে উক্ত অনশনে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা
অংশগ্রহন করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ ডিমলা উপজেলার ১৪৭জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে
১৩জন বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন। এদের মধ্যে ১২৯জন ভারতীয় তালিকাভুক্ত ও ১৮জন মুজিব
বাহনীর সদস্য। সরকারীভাবে উপজেলার ২২৫জন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান করা হয়। চলতি বছর
নতুন করে ৪৭৬জন মুক্তিযোদ্ধার তালিকার জন্য আবেদন করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে
অনলাইনে ৪০৩ ও লিখিতভাবে ৭৩জন রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রানালয়
যাচাই বাচাই কার্যক্রম স্থগিত করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ই-মেইল ও ফ্যাক্য্র যোগে নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলায়
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়। পাঠানো মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব মোঃ
মাহবুবুর রহমান ফারুকীর স্বাক্ষরিত এই আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা
যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিব বরাবর প্রেরন করা হয়। শুক্রবার বিকালে
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক। তবে এটি কতদিনের জন্য
স্থগিত তা পত্রে উল্লেখ নেই বলে তিনি জানান।
সুত্রমতে স্থগিত আদেশের পত্রে বলা হয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের গত ১৯
জানুয়ারী/২০১৭ তারিখের ৪৮.০০.০০০০.০০৪.৪৯.২৩৩.০৯-১৬৭ সংখ্যক বিজ্ঞপ্তির মারফত
প্রকাশিত যাছাই বাছাই কমিটি গত ২১ জানয়ারী/২০১৭ তারিখের
৪৮.০০.০০০০.০০৪.৪৯.২৩৩.০৯-১৮৫ সংখ্যক স্মারকের মাধ্যমে আটটি জেলার (নারায়গঞ্জ,
গোপালগঞ্জ, নোয়াখালি, চাঁদপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, ঝালকাঠি ও সিলেট)
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আংশিক বাতিল/
সংশোধন করা হয়েছিল। মহামান্য হাইকোট বিভাগ কর্তৃক ১১০৮/২০১৭ রিট নম্বরে ২৯
জানুয়ারী/২০১৭ তারিখের আদেশে গত ২১
ডিমলা উপজেলার সদস্য সচিব ও নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম উক্ত স্থগিত আদেশের
পত্র প্রাপ্তীর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মৃুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারনে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা চরম বিপাকে
পড়েছে। আমরন অনশন কর্মসুচী থেকে দ্রুত সময়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাই
প্রক্রিয়া যেন বাধাগ্রস্থ করা না হয় এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রকাশের দাবী
জানানো হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, মিয়ার উদ্দিন, মকবুল
হোসেন, আব্দুল্লাহ চৌধুরী, সাহাদাত হোসেন, ডা. বিমল চন্দ্র রায় প্রমুখ।