মোঃ বাবুল হোসেন, পাঁচবিবি(জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ধরঞ্জী ইউনিয়নের নন্দইল গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনায়
মিথ্যা মামলা দেয়ার প্রতিবাদে আজ সোমবার পৌর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, নন্দইল মৌজায় ৬২শতাংশ জমি(
দাগ নং ১২৭/৪৩৪ জে এল নং ৫৯ খতিয়ান নং ৩৪১ ) ১৯২৭ সালে ইজারা মূলে
করমবক্র,আলীম উদ্দিন, মফির উদ্দিন ও মোকছেল আলীর ভোগ দখলে ছিল। আলীম উদ্দিন
পরবর্তীতে তার অংশ বিক্রি করেন। কিন্তু আলীম উদ্দিনের ছেলে মোশারবফ হোসেন
উল্লেখিত ৬২ শতাংশ জমি নিজ নামে রেকর্ড করে কামাল উদ্দিনের কাছে বিক্রি করেন।
এদিকে কামাল ক্রয়কৃত জমি দখল না পাওয়ায় মোশাররফকে চাপদেন। মোশাররফ গত ২৫
জানুয়ারী আমজাদ হোসেনসহ ১৫ জনের নামে আদালতে মামলা করেন। মোশাররফ ইতি
পূর্বেও আপন ভাই মছির উদ্দিন সহ তার স্ত্রী ও ২ ছেলের নামে মামলা করেন। এছাড়া আপন
ভাতিজা আমিনুলের পরিবারের উপরও মামলা করেন। মোশাররফ হোসেন এলাকায় একজন
মামলাবাজ হিসাবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোকের জমি চালাকি ও ছলচাতুরীর
মাধ্যমে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। আপন চাচাতো ভাই মোকছেদ আলীর ঋণ পরিশোধ
করার কথা বলে তার কাছ থেকে নন্দইল মৌজায় ১০ কাটা জমি কবলা নেওয়ার পরও ঋণ
পরিশোধ করেননি মোশাররফ। প্রতিবেশি নজরুলের কাছে ১২ শতাংশ জমি বিক্রি করেন।
রেজিস্ট্রি না দিয়ে উল্টো ভয়ভীতি দেখান মোশাররফ। এভাবে মোশাররফের বিরুদ্ধে আপন
ভাই, ভাতিজাসহ এলাকার একাধিক ব্যাক্তিকে মিথ্যা মামলা ফাঁসানো ও নিরপরাধ ব্যক্তিকে
মারধরের অভিযোগ রয়েছে। মোশারবফের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন
কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তার স্বজনরা । সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন
মোশাররফের ভাতিজা আমজাদ হোসেন, জ্যাঠাতো ভাই জয়নাল আবেদিন ও চাচাতো ভাই
মোকছেদ আলী। এবিষয়ে ধরঞ্জী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার কাছে জানতে
চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মোশাররফ মামলাবাজ প্রকৃতির লোক।
তার বিরুদ্ধে চাকুরী দেয়ার নাম করে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেয়ার
একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মোশাররফ হোসেনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি
বলেন ,তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলি সঠিক নয়।