তালা প্রতিনিধি:
তালা উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত নেতা অধ্যাপক এম.এ গফ্ধসঢ়;ফারকে কেন্দ্র করে স্থানীয়
থেকে শুরু করে উপজেলা আওয়ামীলীগে দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগের
আপত্তির মূখে বিতর্কীত বিএনপি নেতা অধ্যাপক এম.এ গফ্ধসঢ়;ফারকে একটি মহল
আওয়ামীলীগে যোগদান করায়। এরমধ্য দিয়ে জালালপুর ইউনিয়ন, তালা উপজেলা ও সাতক্ষীরা
জেলা আওয়ামীলীগের চলমান গ্রুপিংকে আরো উস্কে দেয়া হয়েছে বলে আ.লীগ নেতাদের
অভিযোগ।
জালালপুর ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম মুক্তি জানান, উপজেলা
বিএনপির বিতর্কীত নেতা, জালালপুর ইউনিয়নের দোহার গ্রামের মৃত মনির উদ্দীন এর পুত্র
এম.এ গফ্ধসঢ়;ফারকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তালা উপজেলা বিএনপি গত ২৪
ফেব্রুয়ারী বহিস্কার করে। এর ১ দিন পরে একটি মহল জালালপুর ইউনিয়নের জেঠুয়া
জাগরনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক সভার মাধ্যমে গফ্ধসঢ়;ফারকে আওয়ামীলীগে যোগদান
করায়। কিন্তু বিতর্কীত বিএনপি নেতা এম.এ গফ্ধসঢ়;ফার এর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ
এবং তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে মাদক বিকিকিনি, গরু চুরি, ধর্ষন ও
আওয়ামী বিরোধি কট্টর রাজনৈতিক অবস্থানের অভিযোগ থাকায় জালালপুর ইউনিয়ন
আ.লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ ৪৮জন সদস্য সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সম্পাদক
এর নিকট আবেদন করেন। এছাড়া এই আবেদনের অনুলিপি কেন্দ্রীয় এবং তালা উপজেলার
সংশ্লিষ্ট আ.লীগ নেতৃবৃন্দের নিকট দেয়া হয়। তারপরও জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ’র
কতিপয় নেতারা স্থানীয়, উপজেলা এবং জেলা আওয়ামীলীগের গ্রুপিং উস্কে দিতে
গফ্ধসঢ়;ফারকে দলে যোগদান করায়। যদিও ওই সভায় আওয়ামীলীগের একাধিক আমন্ত্রীত
অতিথি উপস্থিত ছিলেন না। আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা জানান, বিএনপি নেতা
এম.এ গফ্ধসঢ়;ফার একজন বিতর্কীত নেতা হওয়ায় তাকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়।
জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত
হবার পর আগামী ইউপি নির্বাচনে এম.এ. গফ্ধসঢ়;ফার আ.লীগের প্রার্থী হবার জন্য মরিয়া
হয়ে উঠেছে। একারনে সে আওয়ামীলীগে যোগদান করে। কিন্তু তার যোগদানের মাধ্যমে
জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তী ব্যাপক ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। একারনে
গফ্ধসঢ়;ফারের বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জালালপুর ইউনিয়ন
আ.লীগ নেতাদের।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক এম.এ গফ্ধসঢ়;ফার ছাত্র জীবনে ছাত্র মৈত্রীর সাথে সক্রিয় সম্পৃক্ত ছিলেন।
পরবর্তিতে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। পরে দুইবার বিএনপি’র বিদ্রোহী
প্রার্থী হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে দলীয় প্রার্থীর
নিকট পরাজিত হন এবং বিএনপির মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টি করনে। সর্বশেষ আ.লীগ,
যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে নিয়ে তাদের বিএনপি কর্মী বানিয়ে আওয়ামীলীগে
যোগদান করে। এর মধ্যদিয়ে সে এবার আ.লীগের মধ্যে গ্রুপিং চেষ্টা শুরু করছে। মূলতঃ
একটি মহলের ইন্দনে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী দলীয় চেয়ারম্যান
প্রার্থী হতে এবার আওয়ামীলীগে যোগদান করায় আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের
মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।