ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে
চাঁদাবাজীর অভিযোগে জিডি হয়েছে। বৃহস্পতিবার মহেশপুর পল্লী
বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম রবিউল ইসলাম এই জিডি করেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম রবিউল ইসলাম জানান, বুধবার ছাত্রলীগের
সভাপতি আমিনুর রহমান তার দপ্তরে এসে চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে
অস্বীকার করায় তাকে গালিগালাজ করে ও মারধর করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায়
তিনি থানায় একটি জিডি লিখে পাঠিয়েছেন।
আমিনুর রহমান মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে জিডি করা ও ডিজিএম ঘুষ দাবী করার
প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মহেশপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে
উপজেলা ছাত্রলীগ।
মিছিল শেষে এক সমাবেশে ঘুষখোর ডিজিএমকে অপসারণের দাবী
জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রুত ডিজিএমকে অপসারন না করলে বৃহত্তর
আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ সময় মহেশপুর পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর
আতিয়ার রহমান ও মীর সুলতানুজ্জামান লিটনসহ শাতাধীক নেতা কর্মী
উপস্থিত ছিলেন। মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুর রহমান
চাঁদাবাজীর অভিযোগ দৃঢ় ভাবে প্রত্যাখান করে বলেন, মহেশপুর পল্লী
বিদ্যুৎ সমিতিতে ৩০ জন ইলেক্ট্রিশিয়ানের মাধ্য মিটার প্রতি ৫ হাজার
টাকা ঘুষ নেয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ডিজিএম
আমাকে চাঁদাবাজ হিসেবে জিডি করেছেন।
তিনি আরো জানান, একটি মিটার নিতে ৬২০ টাকা খরচ হয়, অথচ
গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। তিনি
প্রশ্ন রেখে বলেন, জনগনের পক্ষে কথা বলা কি আমার অন্যায় ? বিষয়টি
ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ, স্থানীয় ইউএনও এবং
ওসিকে জানানো হয়েছে বলে ছাত্রলীগ সভাপতি জানান।
এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, মহেশপুর
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম রবিউল ইসলাম তার কাছে চাঁদা দাবী করার
বিষয়ে একটি জিডি লিখে পাঠিয়েছে। তবে তদন্ত করে চাঁদাবাজীর কোন
তথ্য পাওয়া যায়নি। ওসি বলেন, জিডি করে ডিজিএম সাহেব এ্যাকশান
নিতে নিষেধ করেছেন। ফলে বিষয়টির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে