আল মামুন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
৪ মার্চ বহিস্কৃত, দলের প্রতি বিশ^াস ঘাতক, জিয়া পরিবারকে নিয়ে কুটুক্তিকারী ও
সংস্কারপন্থীদের নিয়ে সদ্য জয়পুরহাট জেলা বিএনপি’র নতুন কমিটি করার
অভিযোগ এনে সেই নতুন কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল,
প্রতিবাদ সভা ও নতুন জেলা বিএনপির কমিটির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান
এবং সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট নাফিজুর রহমান পলাশের কুশপত্তলিকা দাহ
করে ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে ক্ষেতলাল
উপজেলা বিএনপি’র একাংশের নেতাকর্মীরা।
শনিবার দুপুরে ক্ষেতলাল সদরে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে প্রধান
সড়কে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সভা শেষে সদ্য ঘোষিত নতুন জয়পুরহাট জেলা কমিটির
সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক নাফিজুর রহমান পলাশের কুশ-
পুত্তলিকা দাহ করেছে। কুশপত্তলিকা দাহ শেষে স্থানীয় উপজেলা বিএনপি অফিসে
তালা লাগিয়ে দেয় তারা।
এ সময় সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সদ্য
বিলুপ্ত কমিটির সদস্য খুরশিদ আলম চৌধুরী, আব্বাস আলী, ক্ষেতলাল ডিগ্রী
কলেজ ছাত্র দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাছুম আহমেদ প্রমুখ।
ওই সময় বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা সদ্য ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে
অভিযোগ করে বলেন, কমিটি গঠনের লক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের নির্দেশে
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ারকে প্রধান করে ৫ সদস্যের
একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির সদস্যরা স্বস্ব এলাকায়
উপস্থিত হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে নিয়ম অনুযায়ী জেলা কমিটি গঠন
করার কথা থাকলেও জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যোগসাজস
করে গায়ের জোরে এবং প্রভাব খাটিয়ে একটি বিতর্কিত ও অযোগ্য
কমিটি গঠন করে তা প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া বহিস্কৃত, দলের প্রতি
বিশ^াস ঘাতক, জিয়া পরিবারকে নিয়ে কুটুক্তিকারী ও একজন সংস্কারপন্থী
ব্যাক্তি নাফিজুর রহমান পলাশ কিভাবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ
পায়। তাদের আরও অভিযোগ, ওই কমিটিতে অনেক ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে
বিতর্কিত ও প্রবাসী ব্যাক্তিদের নিয়ে একটি বিতর্কিত কমিটি করা
হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে ওই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি
ঘোষণা করা না হলে পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মসূচী দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন
নেতাকর্মীরা।
তাদের দাবি সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিল করে দলের আস্থাভাজন ও সবার কাছে
গ্রহণযোগ্যদের নিয়ে জয়পুরহাট জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করতে হবে।