মুন্সীগঞ্জ সংবাদ দাতা: সারাদেশের মতো ২৫ ফেব্রুয়ারী থেকে পালিত হচ্ছে পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ ২০১৭। সেবার সপ্তাহেও যেন ভোগান্তির শেষ নেই। দপ্তর টিতে সেবার চেয়ে ভোগান্তিই বেশি বলে অভিযোগ করেন সেবা নিতে আসা গ্রাহক রা। ফলে ভোগান্তির অপর নাম দালালদের দৌরাত্ম্য । পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ দালালদের সেবা সপ্তাহে পরিণত হয়েছে বলে উপস্থিত ভূক্তভোগীদের অভিযোগ।গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, এখানে দালাল বা মধ্যস্বত্ত্বভোগী ছাড়া ভেতরে প্রবেশ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। আর ভেতরে ঢুকলেও নানা অজুহাত শুনতে হয়। পুলিশ ভেরিফিকেশন, জন্মনিবন্ধন সনদ ও সত্যায়িত করার সিল সবই এখন আছে দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে। দরকার শুধু টাকা। পকেটে টাকা ঢুকিয়ে দিলেই দ্রুত হয়ে যায় পাসপোর্ট ফরম ফিলাপ প্রস্তুত। আর না দিলে ঘুরতে হয় মাসের পর মাস। দালাল ছাড়া সাধারণ গ্রহকরা নিয়মানুসারে আবেদন করে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পাচ্ছেন তাদের কাঙ্খিত পাসপোর্ট সেবা।বর্তমান সরকার সাধারণ উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে সাধারণ মানুষ যেন স্বল্প সময়ে পাসপোর্ট সেবা পেতে পারে এর জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ব্যবস্থা চালু করে। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না।স্বল্প সময়ে পাওয়ার বিপরীতে উল্টো দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। আগের তুলনায় সেখানে বেড়েছে হয়রানি, দুর্নীতি ও ভোগান্তি। আর এর বেশির ভাগই ঘটে নিজ হাতে আবেদন ফরম জমা দিতেগেলে। ভূক্তভোগী হুমায়ুন জানান, আমি পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহে এসে ভেবেছিলাম সেবা পাবো কিন্তু উল্টো চিত্র চোখে পড়ে এখানে। এক মাস মেয়াদের পাসপোর্টের টাকা জমা দিতে হয় ৬০০০ টাকা দিয়ে যেখানে নিয়ম অনুযায়ী লাগে ৩৪৫০ টাকা। পুলিশ আনসার সদস্যরা থাকলেও তাদের কোন ভূমিকা চোখে পড়েনি। নিদৃষ্ট মেয়াদ শেষে নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট পাওয়া যায়না।এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ্ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক হালিমা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমারকাছে এমন কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণকরা