অনলাইন রিপোর্ট , ঢাকা: বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সুনাম ও চাহিদার ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ জনশক্তি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। তাদের কষ্টার্জিত অর্থ আমাদের অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ সুযোগে বাংলাদেশের এক শ্রেণির অসাধু দালালচক্র স্বল্প আয়ের মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের যোগসাজশে বিদেশে পাচার করছে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী একটি চক্রের মূল হোতা মালয়েশিয়া ফেরত শফিকুল ইসলাম ওরফে গুরু এবং মালয়েশিয়া প্রবাসী আবুল বাসার। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় র্যাব সদর দপ্তরের কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব-৩ এর পরিচালক ও সিও লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ। অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের ২৪ সদস্যসহ পাচারের শিকার ৩৭ জনকে উদ্ধার পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় র্যাব পরিচালক মাসুদ জানান, এ ধরনের পাচারের শিকার সাধারণ জনগণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বন-জঙ্গলে কিংবা কোথাও কোথাও জিম্মি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদের অনেকেই নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে। এ চক্রটি প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অনেক নারীদের বিদেশে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করছে। বাংলাদেশের অনেক নিরীহ লোকজন এইরূপ প্রতারক চক্রের প্রতারণায় জায়গা জমি বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে র্যাব নিয়মিত গোয়েন্দা নজরদারি করছে এবং ভিকটিমদের উদ্ধার ও মানব পাচারকারীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে। এরই অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় মানবপাচার ঠেকাতে ১৫৫টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসময় ৭২৯ জন ভিকটিমকে উদ্ধারসহ মানবপাচারকারী চক্রের ৪৭২ জন সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পাচারকারীদের কার্যক্রম পরিচালিত হয় ৬ টি ধাপে। প্রথম ধাপে স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে বিদেশ গমনে ইচ্ছুক প্রার্থী সংগ্রহ। দ্বিতীয় ধাপে বৈধ/অবৈধ উপায়ে ভ্রমণ ভিসা প্রস্তুত করা। তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন অতিক্রম করে ৩য় কোনো দেশে পাঠানো। চতুর্থ ধাপে অবৈধ সমুদ্র ও স্থলপথে কাঙ্ক্ষিত দেশে প্রেরণ। পঞ্চম ধাপে বিদেশে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সমন্বয়ে প্রতারণা ও জিম্মি করা। ষষ্ঠ ধাপে বাংলাদেশে মুক্তিপণ আদায় এবং অবৈধ অভিবাসী হিসেবে শ্রমদাসে বাধ্য করা। পাচারের শিকার ভিকটিমদের প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই থেকে তিন লাখ টাকা করে নিয়েছে চক্রটি।
মাসুদ জানান, র্যাব-৩ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে একদল আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্র মার্চের ১ তারিখে মালিন্দো এয়ারলাইন্সের ওডি-১৬১ ফ্লাইটে ভোর ৪ টায় বাংলাদেশের ১০ জন অভিবাসী প্রত্যাশীকে স্বল্পকালীন ভ্রমণ ভিসার মাধ্যমে প্রথমে ইন্দোনেশিয়া ও পরবর্তীতে ট্রলারের মাধ্যমে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী হিসাবে পাচার করছে। এ তথ্যের সত্যতা যাচাই ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য র্যাব-৩ তাদের অভিযানিক কার্যক্রম শুরু করে। ওই দিন র্যাবের অভিযানিক দল ঢাকার বিমান বন্দর এলাকার আশেপাশে অভিযান চালিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশী ১০ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরে উদ্ধার ভিকটিমদের থেকে জানা যায় ওই আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতা মালয়েশিয়া ফেরত শফিকুল ইসলাম ওরফে গুরু এবং মালয়েশিয়া প্রবাসী আবুল বাসার (বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত) প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় স্বল্প আয়ের মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের যোগসাজশে বিদেশে প্রেরণের নামে পাচার করছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে অধিকতর অনুসন্ধানের জন্য র্যাব-৩ গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। তার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার র্যাবের অভিযানিক দল মতিঝিল থেকে শফিকুল ইসলাম@গুরু ও তানজিম এবং মিরপুর ডিওএইচএস থেকে আবুল বাশারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আসামিদের একাংশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাজধানীর ফকিরাপুল এবং খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের চক্রের সদস্য আছির, সমেশ, হেলাল, মবিন, ইসমাইল, ফরহাদ, সোহাগ, শোভন ও জবেদকে গ্রেফতার করা হয়। যারা এ চক্রের লোকাল এজেন্ট হিসাবে কাজ করছিলো। তারা মূলত প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষদের অল্প খরচে বিদেশ গমনের প্রলোভন দেখিয়ে আকৃষ্ট করে এবং পাসপোর্ট সংগ্রহ করে।
র্যাব পরিচালক মাসুদ আরো জানান, পাচারকারীরা সংগৃহীত পাসপোর্ট সমূহ পরবর্তী ধাপের জন্য তারা তামজিদকে প্রদান করে। বিপুল পরিমাণ পাসপোর্টসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। আটক আসামিরা জানায়, তারা পলাশ, রাজিব, ইমরান, শাহদাত, সোহান, কফিল এবং রফিকুলের মাধ্যমে জাল ভিসা প্রস্তুত এবং বিদেশ গমনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অবৈধ কপি তৈরি এবং সংগ্রহ করে। এই তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর পল্টন এলাকার আনন্দ সুপার মার্কেট থেকে বিপুল পরিমাণ জাল ভিসা ও জাল ভিসা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ পলাশ, রাজিব, ইমরান, শাহদাত, সোহান, কফিল এবং রফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা অবৈধ ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে জাল ভিসার বিপরীতে বিমান টিকিট সংগ্রহ করে মানবপাচার করে আসছে। ওই গ্রুপের দেওয়া তথ্যমতে পল্টন এলাকায় রহমানীয়া ইন্টারন্যাশনালের ৮ম তলা হতে অবৈধ ও অনুমোদন বিহীন ট্রাভেল এজেন্ট জিম এয়ার ইন্টারন্যাশনালের মালিক শওকত হোসেনসহ দেলোয়ার, রশিদ, রবিউল, শফিউলকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় এ চক্রের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে মানবপাচার করে আসছে। তারা স্বল্পকালীন ভ্রমণ ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়ার বিমান টিকিট ক্রয় করে। ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্যে অন এরাইভাল ভিসা পদ্ধতি চালু থাকার কারণে তারা সহজে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করে। পরবর্তীতে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের বাস যোগে নর্থ সুমাত্রা প্রদেশের রাজধানী মেদানে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরেকটি চক্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মেদান থেকে সমুদ্র পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ার সেলানগর প্রদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য আরেকটি চক্রের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এরা সাধারণত বাংলাদেশের টাংগাইল,পাবনা, মাগুরা, নওগা, যশোর এবং ঢাকার আশেপাশের লোকাল এজেন্টদের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানা যায়, একাধিক অভিযানে উদ্ধার মালামালের মধ্যে রয়েছে ৫১৩টি পাসপোর্ট, ৫০টি পাসপোর্টের কভার, নগদ ৬ লাখ ৩২ হাজার ৮৮৪ টাকা, মালয়েশিয়ান ভিসা ২৩টি, সীলমোহর ১২০টি, মনিটর ১০টি, সিপিইউ ১০টি, স্ক্যানার মেশিন ৩টি, কি-বোর্ড ৮টি, প্রিন্টার মেশিন ১০টি, বিদেশি সিমকার্ড ৩০টি, কার্ড কাটার মেশিন ২টি, আইপিএস ১টি, রিবনের তৈরি পরিচয়পত্র ৩১টি, বিমান টিকেট ৮টি, জালভিসার প্রিন্ট কাগজ ও বিভিন্ন প্রকার প্রিন্ট কাগজ ৩১টি, পেনড্রাইভ ১টি, রিবন ও স্টিকার পেপার ৬৬৫টি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বহির্গমন কার্ড ৬৫টি, মানিব্যাগ ৪টি, বিদেশি সিমের রিচার্জেবল কার্ড ১৯টি, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ঢাকার ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত নোটিশ ১১ কপি, বিএমইটি কার্ড ৮টি, মোবাইল ফোন ৩৭টি, মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট প্রেরণ সংক্রান্তে জাল মেডিকেল রিপোর্ট ১০ সেট, জব সিকারস রেজিস্ট্রি ফরম ২ কপি, মালয়েশিয়ান মুদ্রা ৪১ রিঙ্গিত, সিঙ্গাপুরী মুদ্রা ১ ডলার ৯০ সেন্ট, ইন্দোনেশিয়ান মুদ্রা ৫০০ রুপি, ১১৫ ইউরো সেন্ট, ৩ কপি ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট, ল্যাপটপ ১টি, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ৬টি এবং এটিএম কার্ড ৩টি।
এদিকে বুধবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় লিবিয়া ফেরত ২৭ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এই ২৭ জন ভিকটিম ভোর ৫ টায় টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে অবতরণ করেন। ভিকটিমরা আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের প্ররোচনায় উন্নত জীবন যাপনের আশায় লিবিয়ায় গমন করে এবং লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে তাদেরকে জিম্মি করে অত্যাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। ভিকটিমদেরকে পরবর্তীতে কয়েকটি ধাপে বিভিন্ন চক্রের নিকট বিক্রি করে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে সমুদ্র পথে ইতালিতে প্রেরণের সময় লিবিয়ান পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে ৬ মাসের দণ্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ৬ মাস সাজা ভোগের পর ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় ভিকটিমদেরকে উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব পরিচালক মাসুদ জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উদ্ধারকৃত ভিকটিম ও আসামিদের পরিচয় জানতে ক্লিক করুন
র্যাবের অভিযানে উদ্ধারকৃত ভিকটিমদের নাম ও পরিচয় :
১। মোঃ আমিনুর ইসলাম (২৮), পিতা- মোঃ হযরত আলী, সাং- কাজীবাড়ী, থানা- কালিহাতি, জেলা- টাংগাইল।
২। মোঃ রনি মিয়া (২৮), পিতা- জাহের আলী, সাং- কাজীবাড়ী, থানা- কালিহাতি, জেলা- টাংগাইল।
৩। মোঃ বাবু (৩২), পিতা- লোকমান প্রামানিক, সাং- বড়পাথাইল, থানা- সাথিয়া, জেলা- পাবনা।
৪। মোঃ আনোয়ার হোসেন (২৭), পিতা- মোঃ নায়েব আলী, সাং- দোরামোথনা হাজরাপুর, থানা-মাগুরা সদর, জেলা- মাগুরা।
৫। মোঃ ফালান মিয়া (৩২), পিতা- মোঃ সিরাজ মিয়া, সাং- বানেশ্বরদী, থানা- সোনারগাঁ, জেলা- নারায়নগঞ্জ।
৬। মোঃ মাইদুল ইসলাম (৩৬), পিতা- মেহের সরদার, সাং- তেতুলিয়া, থানা- সাথিয়া, জেলা- পাবনা।
৭। মোঃ আব্দুল মতিন (৪২), পিতা- আবেদ আলী, সাং- পাতাড়ী, থানা-সাপাহাড়, জেলা- নওগাঁ।
৮। মোঃ মোহন আলী (২৫), পিতা- মোতালেব, সাং- বড়পাথাইল হাট, থানা- সাথিয়া, জেলা- পাবনা।
৯। আবুল হোসেন (৩৬), পিতা- আব্দুর রহমান, সাং- মসলারচর, থানা- উলিপুর, জেলা- কুড়িগ্রাম।
১০। মনির (৩০), পিতা- আব্দুল মতিন, সাং- দক্ষিন বিশেরবন্ধর, থানা- ফরিদগঞ্জ, জেলা- চাঁদপুর।
১১। মোঃ রেজাউল করিম (২৫), পিতা-চন্দু খাঁন, গ্রাম-এনায়েতপুর, থানা-এনায়েতপুর, জেলা-মানিকগঞ্জ, মোবা-০১৭১৫১৬৭৪৫৪।
১২। মোঃ শেখ রনি (২২), পিতা-মোঃ পান্নু শেখ, গ্রাম-চরপ্রশন, থানাঃ মোকসেদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ, মোবা-০১৭১২৪৭১৮২৯।
১৩। ইসরাফিল সিকদার (২৯), পিতা-আব্দুস সাত্তার সিকদার,গ্রাম-চরডাকাতিয়া, থানা-চিটলমারি,জেলা-বাগেরহাট, মোবা-০১৯১৬৪২১২৫০।
১৪। মোঃ রুবেল মুন্সি (২৪), পিতা-সিরাজুল হক মুন্সি, গ্রাম-নন্দি, থানা-রাজৈর, জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৭৩১৯১২৭৭৬।
১৫। সুরুজ (৩০), পিতা-মান্নান মাতুব্বর, গ্রাম-চানপট্টি, থানা-রাজৈর, জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৭৩৬৬৪৫৪৫৭।
১৬। রাজিব মাতুব্বর (২২), পিতা-আব্দুর রউফ, গ্রাম-চানপট্টি, থানা-রাজৈর, জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৭৪১১৭২২৭৯।
১৭। আলমগীর শেখ (২৪), পিতা-তারা মিয়া শেখ, গ্রাম-সত্যবদী, থানা-রাজৈর, জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৯২৪৯২৫৫৬১।
১৮। মোঃ রবিউল ইসলাম (২৫), পিতা-বিল্লাল মন্ডল, গ্রাম-আলী নগর, ইবি ইউনিভার্সিটি, জেলা-কুষ্টিয়া, মোবা-০১৭৫৫২০০৮৩৯।
১৯। মোঃ মাহাবুবুল শেখ (২৪), পিতা-মোঃ ইউনুস শেখ, গ্রাম-রাগদি, থানা-মোকসেদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ, মোবা-০১৭৭৬২৪৮৩২৩।
২০। জামির আলী (২৫), পিতা-জোলহাস খলিফা, গ্রাম-কেশরদিয়া, থানা-রাজৈর, জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৭৩২৪৪৫৮২৯।
২১। মোঃ ইলিয়াস মাতুব্বর (৪০), পিতা-আমিন উদ্দিন, গ্রাম-চানপট্টি, থানা-রাজৈর, জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৭৬৫৩১৯৯৬৯।
২২। মোঃ বাচ্চু মিয়া (২৮), পিতা-রেকমত মোল্লা, গ্রাম-তাতিহাটি, থানা-মোকসেদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ, মোবা-০১৭৯০৭১০২০৮।
২৩। বাবু খলিফা (২৪), পিতা-আব্বাস খলিফা, গ্রাম-রাজারাম খালফা, থানা-রাজৈর, জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৭৪৫৯৭৮০২৪।
২৪। আসাদুল ইসলাম (২৫), পিতা-জমির ফকির, গ্রাম-রাজারাম, থানা-রাজৈর, জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৭১০৯২১৭৬৮।
২৫। রুহুল আমিন খাঁন (৪০), পিতা-হাজী নুরুল হক, গ্রাম-হাজীরাপুর, থানা-মাদারীপুর, জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৮৩৪৪৮৬০৪৪।
২৬। মতিউর রহমান (৩৬), পিতা-আবুল খালিফা, গ্রাম-ছোট বিনোদপুর, থানা-শরীয়তপুর, জেলা-শরীয়তপুর, মোবা-০১
২৭। মোহাম্মদ আলী (৩৫), পিতা-সামসু চৌকিদার, গ্রাম-মেন্দীগঞ্জ, থানা-বরিশাল, জেলা-বরিশাল, মোবা-০১৯২৪৪৭৬১১০।
২৮। মোহাম্মদ আলম (৩০), পিতা-মোহাম্মদ মোসলিম, গ্রাম-ভাদাইখোলা, থানা-হবিরামপুর, জেলা-মানিকগঞ্জ, মোবা-০১৭৬৮৭২১৭৯৫।
২৯। কামরুজ্জামান (২৩), পিতা-রশিদ মোল্লা, গ্রাম-তাতিহাটি, থানা-মোকসেদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ, মোবা-০১৭১৮০৬৯২২৪।
৩০। মোঃ করিম মন্ডল (৩০), পিতা-মোঃ আলী মন্ডল, গ্রাম-ডেপুইর মধ্যপাড়া, থানা-কাহালু, জেলা-বগুড়া, মোবা-০১৭৪৫৭৬৭৬১৫।
৩১। মোঃ সোহান খাঁন (২২), পিতা-আইয়ূব খাঁন, গ্রাম-হাজিরাপুর, থানা-সদর, জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৯৫৭৮৯৭৫০।
৩২। মোঃ জাহিদুল ফকির(৩২), পিতা-সেকেন্দার আলী ফকির, গ্রাম-তাতিকান্দি, থানা-রাজউর, জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৭৩৬৭৩২১৮৭।
৩৩। মোঃ আহামেদ আলী (২০), পিতা-মোঃ ইকরাম হাওলাদার, গ্রাম-উত্তর আড়াইপাড়া, থানা+জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৭৬৭১১০৭৮৪।
৩৪। মোঃ রাসেল মাতুব্বর (২২), পিতা-হাফিজুর রহমান, গ্রাম-রুপসা, থানা+জেলা-খুলনা, মোবা-০১৯৮২৫৭৫০৮২।
৩৫। রনি মুন্সি (২৪), পিতা-আজিজুর হক মুন্সি, গ্রাম-নন্দি, থানা-রাজউর, জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৭৪১৭৫৫১৬৩।
৩৬। মাহাবুব খালাসি (২৫), পিতা-ফিরোজ খালাসি, গ্রাম-দক্ষিণ আড়াইপাড়া, থানা+জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৭৩৫০৮৭৮৮১।
৩৭। রবিউল ব্যাপারী (২৩), পিতা-ইব্রাহিম ব্যাপারী, গ্রাম-হাজীরাপুর, থানা+জেলা-মাদারীপুর, মোবা-০১৭৭৭৩৬৯৫৭৪।
আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের গ্রেফতার সদস্যদের নাম ও পরিচয় :
১। মোঃ শফিকুল ইসলাম ওরফে গুরু (৩৮), পিতা- মোঃ জয়েন উদ্দীন হোসেন, সাং- দেওনিয়া বাড়ি, থানা- ত্রিশাল, জেলা- ময়মনসিংহ, এ/পি- নুরে ছালা বাজার , ভাটারা, ঢাকা।
২। মোঃ আবুল বাসার (২৯), পিতা- আব্দুল ওয়াদুদ, সাং শাহাদাৎপুর, থানা- শ্রীমঙ্গল, জেলা- মৌলভীবাজার, এ/পি- বাসা নং-৩১৮, রোড নং-০৪, মিরপুর ডিওএইচএস, ঢাকা।
৩। মোঃ ফরহাদ হোসেন (২৬), পিতা- মোঃ আকবর আলী, সাং রামের ডাঙ্গা, থানা- ও জেলা- পঞ্চগড়, এ/পি- খিলগাঁও রিয়াজবাগ, থানা- রামপুরা, ঢাকা।
৪। সোহাগ হোসেন (২১) পিতাঃ মোঃ আকবর আলী, সাং রামের ডাঙ্গা, থানা ও জেলাঃ পঞ্চগড়, এ/পিঃ খিলগাঁও রিয়াজবাগ, থানা- রামপুরা, ঢাকা।
৫। তানজিল আহম্মেদ শোভন (২৪),পিতা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সাং শিয়ালকাটি, থানা- কাওখালি, জেলা- পিরোজপুর, এ/পি রিয়াজবাগ, রামপুরা, ঢাকা।
৬। মোঃ ইসমাইল হোসেন (৩৫), পিতা- মোঃ আব্দুল খালেক মোল্লা, সাং বড়বাড়ীয়া, থানা- শার্শা, জেলা- যশোর, এ/পি ফকিরাপুল সাফায়েত উল্লা লেন বাসা নম্বর- ৮৮, মতিঝিল, ঢাকা।
৭। মোঃ জাবেদ আলী (৪৫), পিতা- মৃত আবু বক্কর, সাং কাটাখালি, থানা- ঝিকরগাছা, জেলা- যশোর,এ/পি ফকিরাপুল সাফায়েত উল্লা লেন বাসা নম্বর- ৮৮, মতিঝিল, ঢাকা।
৮। মোঃ আল তামজিদ (২৭), পিতা মানিক আহম্মেদ, সাং নলডাঙ্গা, থানা বাঘারপাড়া, জেলাঃ যশোর, বাসা নম্বর-২৫/৭, মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনি, ঢাকা।
৯। হেলাল উদ্দিন শেখ(৪৫), পিতাঃ মৃত লাল চাঁদ আলী শেখ, সাং রাজাপুর, থানা বেলকুচি, জেলাঃ সিরাজগঞ্জ, এ/পি ইসলাম হোটেল ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা।
১০। ম্ঃো আছির উদ্দীন (৩৫), পিতাঃ মোঃ নুর ইসলাম, সাং গোপরেখি, থানা এনায়েতপুর, জেলাঃ সিরাজগঞ্জ, এ/পিঃ কমলাপুর রেলষ্টেশন, ঢাকা।
১১। সমেশ শেখ (৩৩), পিতাঃ সামাদ শেখ, সাং গোপরেখি, থানা এনায়েতপুর জেলাঃ সিরাজগঞ্জ, এ/পিঃ কমলাপুর রেলষ্টেশন, ঢাকা।
১২। মবিন মিয়া (১৮), পিতাঃ নিজাম মিয়া, সাং জয়সিদ্ধি, থানা ইটনা, জেলাঃ কিশোরগঞ্জ, এ/পি নুরেরছালা বাজার,ভাটরা, ঢাকা।
১৩। নিজামুল ইসলাম পালাশ (৪৪) পিতা- মৃত আব্দুল শুকুর মোল্ল্যা, সাং- গোগড়া, থানা- গোপালগঞ্জ, জেলা- গোপালগঞ্জ, এ/পি ১৩৭ হাজী ম্যানসন, আরামবাগ রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা।
১৪। মোঃ ইমরান (২৯) পিতা- মৃত শফিউল্লাহ সাং- সুন্দরপুর, থানা- চাটখিল, জেলা- নোয়াখালী এ/পি বিশ্বাস টাওয়ার, রুম নং- ৭০১, ফকিরাপুল ১ নং গলি, মতিঝিল, ঢাকা।
১৫। মোঃ কপিল উদ্দিন (৫৫) পিতা- মৃত সুলতান মিয়া, সাং- গোয়ালখালী, থানা- কেরানীগঞ্জ দক্ষিন, জেলা- ঢাকা এ/পি সোহরাব ম্যানসন, ৪৬/১ পুরানা পল্টন ঢাকা।
১৬। দেলোয়ার হোসেন (৪৭) পিতা- মৃত আকুব আলী, সাং- বাসিরা, থানা- লোহজং, জেলা- মুন্সিগঞ্জ, এ/পি ৪৩/সি দক্ষিন সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
১৭। রাজীব (২৫), পিতা- মোঃ আবুল কালাম, সাং- বনগ্রাম, থানা- ত্রিশাল,জেলা-ময়মনসিংহ, এ/পি বাগপাড়া, রাজারবাগ দরবার গলি,ঢাকা।
১৮। আব্দুর রশীদ (৫৮), পিতা- মমতাজ মিয়া, সাং-বারার, থানা-বুড়িচং,জেলা- কুমিল্লা এ/পি চিটাগাং রোড, সানার পার, সিদ্দিরগঞ্জ,নারায়নগঞ্জ।
১৯। মোঃ শওকত আলী (৪৫), পিতা- মৃত আলী কদর, সাং- ঝিকরগাছা, থানা- ঝিকরগাছা, জেলা- যশোর এ/পি ৮৬/১ তিলপাপাড়া, রোড নং-১৭,খিলগাও, ঢাকা।
২০। মোঃ শাহাদৎ হোসেন (৫০), পিতা- মৃত কেজমত আলী, সাং- বিশলাদী, থানা- সোনারগাঁও, জেলা- নারায়নগঞ্জ এ/পি ১৭/এএস রং রিজন, জাহিদ মার্কেট, বংশাল, ঢাকা।
২১। মোঃ রবিউল আলম (৩৮), পিতা- আলী আকবর, সাং-খোলাহানী, থানা- মিঠামাঈন, জেলা- কিশোরগঞ্জ এ/পি ২৩,পূর্ব গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা।
২২। মোঃ শফিউল্লা (৩৪), পিতা- মৃত আবুল হোসেন, সাং- একলাশপুর, থানা- বেগমগঞ্জা, জেলা- নোয়াখালী এ/পি ৬২/১ বেচারাম দেওরী আরমানিটোলা, বংশাল, ঢাকা।
২৩। রফিকুল ইসলাম (৫০) পিতা- মৃত শামসুল হক, সাং-৪৫৩, নয়াপাড়া, দনিয়া, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
২৪। মোঃ শরীফ হোসেন সোহান (২১), পিতা- আলী হোসেন, সাং- চাঙ্গীরগাঁও, থানা- রামগঞ্জ, জেলা- লক্ষীপুর এ/পি সানারপাড় বাজারস্থ সাংবাদিক তৈবিল্লাহ ফাহিম এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
সূত্র: পরিবর্তন ডটকম।