বাংলার প্রতিদিন ডটকম ঃ
সকাল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি চলেছে। কখনো থামে তো আবার শুরু। বাতাসে তীব্রতা না থাকলেও কাল বৈশাখের আগমনী বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এবার রাজধানীতে শীতের দেখা না মিললেও বৃষ্টির দেখা মিলবে।শনিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এছাড়া গেলোরাতেও শিলাবৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিও হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ধুলোবালি থেকে নিস্তার পেয়েছে রাজধানীবাসী। তবে সকালে অফিসগামী কর্মজীবীরা পড়েছেন বিপাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার ব্যস্ততম সড়কগুলোতে যানযটের সৃষ্টি হয়।
ঢাকায় বাতাসের গতিবেগ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার, যা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ারূপে ঘণ্টায় ২৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাচ্ছে।আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ ঢাকায় সারাদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হবে। তবে ভারী কোন বর্ষণের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। রোববার থেকে আবাহাওয়া স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে অল্প বৃষ্টিতেই মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, কারওয়ান বাজার, তেজতুরী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমে যায়। মুগদা, বাসাবো, মৌচাক, মালিবাগ এলাকাতেও পানি জমে। অসময়ের এই বৃষ্টিতে ধুলা থেকে স্বস্তি মিললেও যানজট আর জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়তে হয় ঢাকাবাসীকে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে সাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সেখানে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সে সঙ্গে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।এদিকে বৈরী আবহওয়ার কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছেন শ’ শ’ পর্যটক। তবে তাদের অতঙ্কিত না হয়ে অপেক্ষা করতে বলেছে প্রশাসন।টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে নৌরুটে জাহাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেন্টমার্টিনে আটকাপড়া পর্যটকদের খোঁজ-খবর নেয়া হয়েছে। তারা সবাই নিরাপদে আছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জাহাজে আটকাপড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হবে।