সুনামগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ আব্দুল বারী (৮৭) আর নেই। বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ শহরের হাসননগরস্থ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন অঙ্গনের রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শোক জানিয়েছেন। তারা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে ও এক মেয়ে রেখে মারা যান।
বৃহষ্পতিবার রাতে এই মহান রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের মৃত্যুর খবরে তার বাসায় ছুটে যান শহরের বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ। শুক্রবার বাদ জুমআ সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রথম জানাযা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ সুনামগঞ্জের নিজ গ্রাম উমেদনগরের বাড়িতে। সেখানে দ্বিতীয় দফা জানাযা শেষে তাদের পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে।
আব্দুল বারী চৌধুরী ছিলেন সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের একনিষ্ট কর্মী। সরকারি চাকুরি ছেড়ে দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। দায়িত্ব পালন করেন সাহসী সংগঠকের। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকেসহ সুনামগঞ্জের ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগকে এখানে সংগঠিত করেন। তার বাসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজ উদ্দিন আহমদ রাত্রিযাপন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য স্থানীয় রাজাকাররা তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল। বাড়িতে করেছে লুটপাট।
এই বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মহল। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সুনামগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন। তারা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।