আব্দুল্লাহ আল মামুন,পার্বতীপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি ঃ
বাংলাদশী এক যুবকের প্রতারনার ফাঁদে পড়ে ভারতীয় কিশোরী
রেজিনা (১৬) বাবা মায়ের কাছে ফেরার আকুতি নিয়ে এখন
দিনাজপুরের পাবর্তীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আশ্রয় নিয়েছে। আজ
সন্ধ্যায় মেয়েটির সাথে আলাপচারিতায় সে ভারতের আসাম
রাজ্যের তেজপুর সুমিতপুর জেলার বলে জানা যায়। তার বাবার
নাম আব্দুর রশিদ, পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার বলে জানান
মেয়েটি।
বলা হয় পার্বতীপুর উপজেলার শহরের রুস্তম নগর মহল্লার বাসীন্দা
সুজন শেখের ছেলে সাগর শেখ (২৮) নিজেকে কলকাতার
বাসিন্দা পরিচয়ে আসাম রাজ্যের তেজপুর বিতলছুতি মহা
কৈতব ও সুমিতপুর এলাকায় এক ধরনের কুঠি ব্যবসা করত।
একপর্যায়ে রেজিনার সাথে তার পরিচয় ও মন নেয়া দেয়ার
ঘটনা ঘটে এবং শেষ পরিনতি বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। সুজন
শশুরবাড়ী আসা যাওয়ার সুবাদে রেজিনা শশুরবাড়ী যাওয়ার বায়না
ধরলে সুজন তাকে ভারতের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নিজ বাড়ী
বাংলাদেশ দিনাজপুরের পার্বতীপুরে নিয়ে আসে। শশুরালয়ে
এসে রেজিনা বুঝতে পারে এটা কলকাতা নয় এটা বাংলাদেশ।
কয়েকদিন শশুরবাড়ীতে বসবাসে পর আরও বুঝতে পারে তার সাথে
প্রতারনা করা হয়েছে। শশুরবাড়ীর লোকজন সেভাবে রেজিনাকে
মেনে নিচ্ছে না। তার উপর শারিরিক নির্যাতন সহ যৌতুকের
খড়গ চেপে দেয়া হচ্ছে। যে কারনে রেজিনা গত সোমবার (৬
মার্চ) সন্ধ্যায় অসুস্থ্য অবস্থায় স্থানীয় লোকজনের
সহযোগীতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি হয়। এখন সে
স্বাস্থ্য কমপেক্সের এফ ১৩ বেডে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বর্তমানে সে প্রতারক স্বামীর হাত থেকে রক্ষা পেতে নিরাপত্তার
জন্য নিজ দেশে পিতা মাতার কাছে ফিরে যেতে চায়। কান্না
জড়িত কন্ঠে রেজিনা সাংবাদিকদের জানান, হিলি সিমান্তে
তার বাবা তাকে নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
রেজিনার স্বামী সাগর সেখের সাথে মুঠোফোনে
একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া
যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরফদার মাহমুদুর
রহমানের কাছে এ বিষয়ে জনতে চাইলে বলেন, রেজিনার
নিরাপত্তার জন্য ওসি কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওসি এসপি
সাহেবকে বলেছেন। আমি ডিসি স্যারকে জানিয়েছি।
আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে হাই কমিশনার পর্যায়ে বিষয়টির
সমাধান করা হবে।