রুবেল মাদবর ,মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধ বাংলার প্রতিদিন:
মুন্সীগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষীদের চোখের জল দেখলে আপনার কান্না ও ধরে রাখতে পারবেন না। ৪০০-৫০০ একর জমিতে চাষ করা আলুর ক্ষেত ডুবে গিয়েছে বৃষ্টির পানিতে। আলুচাষীদের চোখের জলে ভাসছে গজারিয়া, সদর, সিরাজদিখান, লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলায়। সদর উপজেলার বাগেরশ্ব গ্রামের আলুচাষী মোঃ মিজানুর রহমান বাংলার প্রতিদিন কে জানান .৫০ একর জমিতে আলুর চাষ করে মাত্র ১০ একর জমির আলু ঘরে তুলতে পেরেছেন, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। পানিতে ডুবে যাওয়া আলুতে ধরেছে পঁচন আর বাছাই করা আলুর কেজি কি ধরে বিক্রি হবে আল্লাহই ভালো জানেন।
> মিডিয়ার নজরে চাষীর মুখ ভাসেনা, পায়ে হেঁটে গ্রামে ক্ষতিগ্রস্তের একটা নিউজ করতে আসেনা, এখানে পাচ্ছেনা কারো অনুদান বা সহযোগিতা, যারা দেশের খাদ্যের অভাব মেটাতে নিজের সর্বস্ব হারিয়েছেন আজ তারা কোনো অনুদান পাচ্ছেনা রাজনীতিতে নেইবলে? পরকীয়া, খুন বা রাজনীতির গন্ধ না থাকার কারনে কোটি কোটিটাকার পঁচা আলুর গন্ধ মিডিয়ার কর্মীদের নিতে পারছেনা সেসব চাষীদের ক্ষেতের পাশে। এমনই ক্ষোভ জানিয়েছে গজারিয়ার আলু চাষী শাহজাহান মিয়া। টানা ৪ দিনের বৃষ্টিতে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পরেছে মুন্সীগঞ্জেরনিমাঞ্চলের আলুর জমি গুলো। ইতোমধ্যে জেলার ৯ হাজার ২শত ৫০ হেক্টর জমির আলু জমি থেকে উঠানো হলেও বাকি ৩০ হাজার ৫০ হেক্টর জমির আলুর বেশির ভাগই রয়েছে ঝুঁকিতে। বৃষ্টির পানি জমি থেকে সরাতে চাষিরা মরিয়া হয়ে পরেছে। বিগত কয়েক বছরযাবত আলুর লাগাতার লোকসানে ব্যাপক ক্ষতির মুখে রয়েছে কৃষকরা।শুধুমাত্র বিগত সময়ের লোকসান পোষানোর আশায় প্রতি বছর আলু চাষ করে যাচ্ছে তারা। এবছর সার, বীজ ও কীটনাশকের সমস্যা কাটিয়ে ফলন ভাল হওয়ার আশা করছিলেন তারা। বম্পার ফলনও হয়েছে। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে সব শেষ। কিন্তু আলু তোলা শুরু হলে কৃষকের মাথায় ভাজ পরে চিন্তার। কারন গাছ বালো হলেও আবাদ ভালো নেই। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে আলু দাম কমের শঙ্কা। যথা সময়ে বৃষ্টি না হওয়া আলুর ফলন কম হয়েছে কিন্তু আলু উৎলনের এ অসময়ে বৃষ্টিই বর্তমানে কৃষকের সবচেয়ে বড় ফাঁদে পরিনিত হয়েছে।কৃষকরা আরো জানান, আর্থিক ঋন নিয়ে চাষাবাদ করে তারা পরেছে পুরোটা বিপাকে, সরকারী সাহায়্য ছাড়া তাদের আর কোন গতি নেই বলেওতারা জানান। জেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, বৃষ্টির পরিধি দীর্ঘ হলে জমির আলু বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পরবে। কৃষকগণ দুর্যোগে আক্রান্ত হয়েছে। পানি সরাতে না পারা ক্ষেতের আলু নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। মুন্সীগঞ্জে মোট ৩৯ হাজার ৩শত হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে ৯ হাজার ২শত ৫০ হেক্টর জমির আলু উৎলন করা হয়েছে আরো ৩০ হাজার ৫০ হেক্টর জমির আলু উৎলন বাকি রয়েছে। তবে মোট ৯০ হেক্টর জমি দূযোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।