শেখ হুমায়ুন হক্কানী গাইবান্ধা থেকে ঃ সুন্দরগঞ্জ আসনে সুষ্ঠু
নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে ব্যাপক আশংকা রয়েছে। সেজন্য নতুন
নির্বাচন কমিশনকে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের ২২ মার্চের উপ-
নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে আস্থা অর্জন করতে
হবে। অন্যথায় গণতন্ত্র প্রশ্নের সম্মুখিন হয়ে পড়বে।
গাইবান্ধা-১(সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম
হায়দার পাটোয়ারী সোমবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে গণ মাধ্যম কর্মীদের
সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে
জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে বললেও সুন্দরগঞ্জে বিভিন্ন সময়ে তারা
জামায়াত-শিবিরকে লালন করেছে। কেননা এমপি লিটন হত্যার সাথে সংশিষ্ট
জাতীয় পার্টির সাবেক কর্ণেল (অবঃ) ডাঃ আব্দুল কাদের খানের প্রধান
সহযোগি ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক চন্দন সরকার।
এমনকি সুন্দরগঞ্জের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তার দলীয়
সমর্থকরা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ভোটারদের কাছে
ভোট প্রার্থনা করছেন বলেও তিনি উলেখ করেন।
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এমপি লিটন হত্যাকান্ডে জাতীয়
পার্টির সাবেক কর্ণেল (অবঃ) ডাঃ আব্দুল কাদের খান গ্রেফতার হলেও
জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি কোন ইমেজ সংকটে ভুগছেন
না। এছাড়াও নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া হবে না।
তিনি বলেন, সুন্দরগঞ্জে উপজেলায় ৭০ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অসংখ্য
হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রকৃত আসামি ছাড়াও
অধিকাংশ নিরাপরাধ ও নিরীহ মানুষ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে
চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নিরপেক্ষভাবে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের
মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে হয়রানী থেকে রেহাই দিতে
অসহায় মানুষকে।
তিনি বলেন, তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সকল রাজনৈতিক দলের
সহাবস্থানের মাধ্যমে সুন্দরগঞ্জে সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরিয়ে
আনবেন। এছাড়া সাম্প্রতিককালে অসুন্দর জনপদে পরিণত হওয়া
সুন্দরগঞ্জকে আবারও সুন্দর এলাকায় পরিণত করবেন। এছাড়াও অবহেলিত এই
অঞ্চলে শিক্ষার উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা,
আরেকটি উন্নতমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের
চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করবেন। তদুপরি তিনি নির্বাচিত হলে
অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক
পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সুন্দরগঞ্জ
যেহেতু জাতীয় পার্টির এলাকা। সুতরাং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত
হলে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বিপুল
ভোটে নির্বাচিত হবেন।
মতবিনিময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির
প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাবেক এমপি
আব্দুর রশিদ সরকার, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহজাহান খান
আবু, সাংবাদিক মোঃ তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।