রুবেল মাদবর ,মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ভিজিএফ কার্ড দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বালুরচর ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল মোল্লা গত রোববার রাত ৮টায় বালুরচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি বাজারের কাছে তার নিজ বাড়িতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তার সহযোগি পান্না আক্তার (২৫)-কে আটক করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। এলাকাবাসী ও সিরাজদিখান থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, ভিজিএফকার্ড দেওয়ার কথা জানালে শিশুটির মা তার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়েকে নিয়ে ইউপি সদস্য কামাল মোল্লার বাড়ীতে যায়। এ সময় তার মাকে অন্য একটি রুমে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে শিশুটিতেনেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়। এ সময় ইউপি সদস্যের ভাড়াটিয়া পান্না বেগমের সহায়তায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে সোমবার বিকেলে ধর্ষিত স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ইউপি সদস্য কামাল মোল্লা ও সহযোগি পান্না আক্তারকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেন। পুলিশ পান্নাকে আটককরতে পারলেও ধর্ষক ইউপি সদস্য কামাল পালিয়েছে বলেপুলিশ জানিয়েছেন। ধর্ষিতার বাড়ী টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানায়। তার বাবা সিরাজদিখানে কাজ করে এবংমোল্লাকান্দি সুলতান আহম্মেদের বাড়ীতে ভাড়া থাকেন। গ্রেপ্তারকৃত পান্নার স্বামী সোলেমান বালুরচর কিউর লাইফ ডায়াগনিস্টক সেন্টারে চাকরি করেন। ধর্ষিত স্কুলছাত্রীকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।