ঢাকা : রাজধানীর গুলশানের আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে ৯ ইতালীয়, ৭ জাপানি, ১ ভারতীয়, ৩ বাংলাদেশি, ৬ সন্ত্রাসী ও ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২৮ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাত ৯টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত গুলশানে এই হামলা চলে।
ইতালী: ৯ ইতালীয়র মৃত্যুর বিষয়টি শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া এক পোস্টে নিশ্চিত করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শুক্রবার রাতে হামলার সময় গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ার ওই রেস্টুরেন্টে ১০ থেকে ১১ ইতালীয় নাগরিক আটকা পড়েন। জিম্মিদশা থেকে পালিয়ে আসা এক ইতালীয় নাগরিকের বরাত দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাট্টেও রেনজি অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে জানান।
টুইটারে দেয়া পোস্টে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা হামলায় নিহত ৯ ইতালীয় নাগরিকের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
জাপান: জাপনের পররাষ্টমন্ত্রী মন্ত্রনালয় থেকে তাদের ৭ নাগরিক নিহত হবার খবর নিশ্চিত করেছেন।
ভারত: ভারতের পররাষ্টমন্ত্রী সুসমা স্বরাজ তাদের এক নাগরিক নিতহ হবার খবর নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশি: গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জিম্মিদের মধ্যে থাকা তিন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর দিয়েছে তাদের পরিবার। এর মধ্যে একজন ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের নাতি ফারাজ হোসেন। একজন ঢাকার একটি আর্ট গ্যালারির সাবেক প্রধান ইশরাত আখন্দ, ল্যাভেন্ডারের মালিকের নাতনী অবিন্তা কবীর।
তবে ফারাজ, অবিন্তা ও ইশরাতের গণমাধ্যমকে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তাদের পরিবার।
সন্ত্রসী: অভিযানে সাত সন্ত্রাসীর মধ্যে ৬ জন নিহত ও একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ: অস্ত্রধারীদের স্প্লিন্টারের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ডিবি উত্তরের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল করিম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু হয়েছে।