মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ভিজিএফ কার্ড দেয়ার কথা
বলে মা-মেয়েকে ডেকে নিয়ে মাকে আটকে রেখে মেয়েকে
ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ইউপি মেম্বারের সহযোগি পান্না
বেগম (২৫)-কে ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-২এর বিচারক
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পশুপতি বিশ্বাস এই
রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সিরাজদিখান থানার পুলিশ ৫দিনের
রিমান্ড চেয়ে গ্রেপ্তারকৃত পান্না বেগমকে আদালতে
পাঠিয়েছিলো। মুন্সীগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. হারুন-
অর-রশীদ এই তথ্য জানিয়েছেন। ধর্ষিতা সিরাজদিখান
উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
ইয়ারদৌস হাসান জানান, গত ১২ ই মার্চ রাত ৮টার
দিকে মোল্লাকান্দি গ্রামের পান্না বেগম ভিজিএফ
কার্ড দেওয়ার কথা বলে শিশুটির মা ও তার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে
পড়–য়া মেয়েকে নিয়ে বালুরচর ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডের
ইউপি সদস্য কামাল মোল্লার বাড়িতে যায়। এ সময় তার
স্কুলছাত্রীর মাকে (নার্গিস বেগম) বাড়ির নিচতলার
একটি রুমে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে
শিশুটিতে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়। পরে তিনঘন্টা ধরে
ইউপি সদস্যের ভাড়াটিয়া পান্না বেগমের সহায়তায়
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরদিন ১৩ ই মার্চ বিকেলে ধর্ষিত
স্কুলছাত্রীর বাবা (সানোয়ার হোসেন) বাদী হয়ে ইউপি
সদস্য কামাল মোল্লা ও সহযোগি পান্না বেগমকে
আসামি করে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেন।
পান্নাকে আটক করতে পারলেও ধর্ষক ইউপি সদস্য কামাল
মোল্লাকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
ইয়ারদৌস হাসান বলেন,ধর্ষক ইউপি সদস্য কামাল
মোল্লাকে আটকের চেষ্ঠা চলছে।