মোঃ আরিফ জাওয়াদ, দিনাজপুর: দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের কথিত পীর ফরহাদ হাসান চৌধুরী ও তার পালিত কন্যা রুপালী বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কুড়িগ্রামের আরেক কথিত পীরসহ আরও অনেকেই জড়িত রয়েছেন। পীর হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকালে দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আটক হওয়ায় আরেক কথিত পীর এসহাক আলী ও বোচাগঞ্জ উপজেলার দৌলা এলাকায় কাদেরিয়া মোহাম্মদিয়া দরবার শরীফের প্রধান খাদেম সাইদুর রহমান।
দিনাজপুরের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক শহীদ সরওয়ার্দী জানান, কুড়িগ্রাম থেকে সন্দেহমূলকভাবে আটক হওয়া আরেক পীর এসহাক আলী ও খাদেম সাইদুর রহমানকে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে দিনাজপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসা হয়।
সেখানে আদালতের বিচারক এফএম আহসানুল হকের কাছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
‘জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছে অভ্যন্তরীণ বিষয় ও মতপার্থকের জের ধরে তারা পরিকল্পিতভাবে পীর ফরহাদ হাসান চৌধুরী ও তার পালিত কন্যা রুপালী বেগমকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে সব নাম বলা যাচ্ছে না।’
এদিকে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, আটককৃতদের বিষয় ও অস্ত্র উদ্ধারসহ যাবতীয় বিষয়ে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। এহসাক আলী কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি গ্রামের পীর আজিম উদ্দিনের ছেলে ও খাদেম সাইদুর রহমান বোচাগঞ্জের দৌলা গ্রামের মৃত ফয়জুল হকের ছেলে।