বাংলার প্রতিদিন অনলাইন ঃ
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে ডিস্টার্ব (বিরক্ত) করে স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) মিলনায়তনে জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির (নাটাব) বার্ষিক যক্ষ্মা সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেড় বছর পরে আমাদের জাতীয় নির্বাচন। এ ধরনের হামলা নির্বাচনের অন্তরায়। এখানে দলমত খণ্ডিত চিন্তা করে লাভ নেই। আমরা ভিন্ন ভিন্ন দল করি। কিন্তু দেশটা আমাদের সবার। দেশে যদি ঠিক না থাকে, অস্থিরতা, নাশকতা হয়, তাহলে আপনি-আমি কেউ নিরাপদ নয়। এটা জাতির জন্য চ্যালেঞ্জ। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে অপশক্তিকে আমাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। আমরা বীরের জাতি, পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছি। বিশ্বাস করি এ অপশক্তিকেও আমরা পরাজিত করব।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। কোনো দলের বিষয় না, দেশের স্বার্থে, জাতীয় স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে সফল অভিযানের কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শিকারে পরিণত হচ্ছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রথমে চন্দিনা, এরপর ফেনী, সীতাকুণ্ড হয়ে আশকোনায় আমাদের এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর আত্মঘাতী হামলা করেছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করে তাদের মনোবল ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশে একটি স্থিতিহীন পরিবেশ সৃষ্টি করে চায়।’
তিনি আরো বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, হলি আর্টিজানে উগ্রবাদী হামলায় মেট্রোরেলে সাতজন জাপানি পরামর্শকের রক্তাক্ত বিদায় হয়। এতে প্রায় পাঁচ মাস মেট্রোরেলের গতি ঝিমিয়ে পড়ে। এ ধরনের হামলায় আমাদের দেশের মানুষের উপর যতটা না প্রভাব পড়ে তার চেয়ে বেশি হয় বিদেশিরা, যখন তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়। যে কারণে মেট্রোরেলের মতো একটা প্রকল্পের কর্মকাণ্ড বিলম্বিত হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যক্ষা আমাদের জন্য অব্যশই চ্যালেঞ্জ। এটা নির্মূল করা কঠিন, কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু এটা নির্মূলের পরিবেশ এখন আমাদের তৈরি করতে হবে। যদি দেশে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করে, বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে যাবে।
জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির (নাটাব) সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, হেল্প সার্ভিসের ডিরেক্টর জেনারেল আবুল কালাম আজাদ, একমি ল্যাবরেটরির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিনহা, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খায়ের উদ্দিন আহমেদ মুকুল প্রমুখ।