আব্দুর রহিম পলাশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ রাজশাহী রহনপুর রুটে
সকাল ও রাতে ট্রেন সার্ভিসসহ বিভিন্ন দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন
চাঁপাইনবাবগঞ্জÑ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাঃ জিয়াউর রহমান । রোবরার
সকাল ১০টা ৩০মিনিটের দিকে রহনপুর বাজার বেগম কাচারীস্থ তার কার্যালয়ে
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত
ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য মোসা হালিমা বেগম ও রয়েল বিশ্বাস এবং রহনপুর পৌর
কাউন্সিলর মোজাহার হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার নির্বাচনী
এলাকা (গোমস্তাপুর-নাচোলÑভোলাহাট ) উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববতী নওগাঁর
নিয়ামতপুর ও পোরশা উপজেলার জনসাধারণ উত্তরাঞ্চলের প্রচীন রেলষ্টেশন রহনপুর দিয়ে
দেশের বিভিন্নস্থানে রেলযোগে যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া সীমান্তবর্তী এ
রেলষ্টেশন দিয়ে ভারত ও নেপালের সাথে পণ্য পরিবহন বর্তমানে চালু রয়েছে । যা থেকে
রেল ও কাষ্টমস লক্ষ্যমাত্রার বহুগুণ বেশী রাজস্ব আয় করছে । এ ছাড়া রেলওয়ে যাত্রীপরিবহন
করেও আশানুরুপ আয় করছে। কিন্তু বিভাগীয় শহর রাজশাহী থেকে সকালে ও রাতে
রহনপুর আসার সরাসরি কোন ট্রেন নেই । এ জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবত
আন্দোলন করে আসছে । এরই অংশ হিসেবে গত ১৩ মার্চ মাননীয় রেলমন্ত্রীর
নিকট এলাকাবাসীর পক্ষে বিভিন্ন দাবীতে একটি আবেদনপত্র দাখিল করেছেন
তিনি । দাবীগুলোর মধ্যে রয়েছে, রহনপুর ও নাচোল রেল ষ্টেশনের জন্য আন্তঃনগর ট্রেনের
টিকিট বরাদ্দ, যাত্রী সেবার মান উন্ন্ধসঢ়;য়ন, লুপলাইন বা ইয়ার্ড বৃদ্ধি, রেল ক্রসিং
তেরী, ওভার ব্রীজ নির্মাণ, কোচ সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রাজশাহী -রহনপুর রুটে সকাল ও
রাতের ট্রেন সার্ভিস চালু । ট্রেনের সমাধান হিসাবে তিনি ঈশ্বরদী থেকে
রহনপুরের মধ্যে চলাচল কারী (আই. আর) এবং সকাল বেলায় রাজশাহী-
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মধ্যে চলাচলকারী কমিউটার ট্রেনটি রহনপুর পর্যন্ত বর্ধিত
করণের দাবি জানান। প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি থেকে দর্শকবা কি পাবেন- এমন
প্রশ্নের উত্তরে প্রাচ্য পলাশ জানান, প্রামাণ চলচ্চিত্র ‘দ্য ইভাল্যুয়েশন,
ইন্ট্রোডিউসিং অব চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন’ এ শুধুমাত্র যাত্রীভাড়া ও ট্রেন
ছাড়ার সময় ছাড়া অন্য তথ্যগুলো অপরিবর্তনশীল। প্রতিদিন কয়টা ট্রেন আসা-
যাওয়া করে, যাত্রীভাড়া কেমন, রেলস্টেশনে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন রয়েছে
ইত্যাদি সম্পর্কে একটা পরিচ্ছন্ন ধারণা তৈরি করবে এ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি।
মূলত রেলযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, উন্নত যাত্রীসেবার নিশ্চয়তা ও রেলকে
ভ্রমণকারীদের পছন্দের বাহনে পরিণত করার উদ্দেশ্যেই এ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ
করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।