হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের ফাঁসির দণ্ড কার্যকরে প্রস্তুত রয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। জানালেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন।বুধবার সকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।সৈয়দ ইফতেখার বলেন, মুফতি হান্নানসহ ৩ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরে নতুন করে প্রস্তুতি নেয়ার কিছু নেই। আমরা সব সময়ই প্রস্তুত। এর আগেও অনেক অপরাধীর দণ্ড কার্যকর হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নির্দেশনা এলে জেল কোড অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।গেলো ১৯ মার্চ রোববার সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নানসহ ৩ জঙ্গির রিভিউ আবেদন খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এরপর ২১ মার্চ রিভিউ খারিজের পূর্ণা-ঙ্গ রায় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। ৫ পৃষ্ঠার ওই রায়ের অনুলিপি পাঠানো হয় কারা কর্তৃপক্ষ, বিচারিক আদালত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ৭ স্থানে।২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২ পুলিশসহ ৩ জন নিহত হন। আহত হন আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ কমপক্ষে ৪০ জন। পরে এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করে পুলিশ।বিচার কাজ শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সামীম মোহাম্মদ আফজাল মুফতি হান্নানসহ ৩ জঙ্গির ফাঁসির রায় দেন। দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা।গেলো বছরের ৭ ডিসেম্বর মুফতি হান্নানসহ ৩ আসামির আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত। মুফতি হান্নান ছাড়া মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অপর ২ আসামি হলেন-শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপন।এর পর গেলো ১৭ জানুয়ারি মুফতি হান্নানসহ ৩ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগের পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৪ সদস্যের সইয়ের পর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৬৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। এর বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে আসামি পক্ষ। গেলো ১৯ মার্চ আবেদন খারিজ করে রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। ২১ মার্চ রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে।