ঢাকা : গুলশানে কূটনৈতিকপাড়ার স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট হলি আর্টিসানে অস্ত্রধারী সন্ত্রসীদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ন্যাশনাল ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল।
ঘটনার পরদিন শনিবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীদের সংগঠনটি এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুনু।
বিবৃতিতে নেতাদ্বয় বলেন, আমরা আইনজীবীদের পক্ষ থেকে ‘সহিংস প্রাণবিনাশী’ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গুলশানের এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ তারা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, এই সহিংস ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আটক করে শাস্তি দিতে সক্ষম হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, দেশ যে একটি ক্রান্তিকাল পার করছে এ ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ।
গুলশানের এলাকাবাসীসহ এখানে বসবাসরত বিদেশি কূটনীতিকদের জীবন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার দ্রুত সময়ে কার্য্কর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও আশা করে সংগঠনটি।
এ ঘটনায় নিরীহ মানুষ ও যেসব পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয় বিবৃতিতে।
দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে জঙ্গি দমনে সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি সফল অভিযান পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ সকল আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশান ২ এর ৭৯ নম্বর সড়কে ৫নং বাসার দ্বিতীয় তলায় হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় কয়েকজন অস্ত্রধারী। রেস্টুরেন্টে প্রবেশের সময় তারা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গুলি চালায়। এসময় পুলিশের সঙ্গে গুলিবিনিময় হয়। তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন, ডিবির এসি রবিউল ইসলাম, পুলিশের দুই কনস্টেবল, একজন মাইক্রোবাসচালকসহ ২০ জনের বেশি। গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন ওসি সালাউদ্দিন এবং এসি রবিউল। এ ঘটনায় ৩ বিদেশিসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।