মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: কয়েক দিনের অভিরাম বৃষ্টি হওয়ার ফলে মুন্সীগঞ্জ জেলার
আলু চাষীরা বিপাকে পড়েন। প্রতিকুল আবহাওয়ার কারনে ২ সপ্তাহের
বৃষ্টিতে জমির আলু অর্ধেক পঁচে গেছে কৃষকদের। এখন বৃষ্টি নেই
আবহাওয়াও ভাল তাই কৃষকরা আলু উত্তোলন করে বাজারজাত ও কোল্ড স্টোরে
মজুদ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। কৃষকদের উৎপাদিত আলুগুলো কৃষকরা
বস্তায় ভরে ইঞ্জিন চালিত ট্রলির মাধ্যমে কোল্ড স্টোরে নিয়ে যাচ্ছেন। এই
সুযোগে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নে একাধিক
প্রভাবশালী ব্যক্তি জমিতে ট্রলি নামায় আলু পরিবহনের জন্য। এই প্রভাবশালী
চক্রটি একচেটিয়া ট্রলি দিয়ে ্ধসঢ়;আলু নামিয়ে হাতিয়ে নেন হাজার হাজার
টাকা। অনেকটা জোর পূর্বক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাধারন আলু চাষীদের
জি¤িœ করে রাখে। বাধ্য হয়ে কৃষকরা ট্রলি সিন্ডিকেটের অন্যায় আবদার
মেনে নিচ্ছেন অনেকে। এবছর বৃষ্টির কারনে কৃষকরা এমনিতেই মরা। আর
এই মরার উপর খারার গাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্রলির মালিকরা। কৃষকদের আলুর
বস্তা বাধ্যতামূলকভাবে তাদের নির্ধারিত ট্রলির মাধমে পরিবহন করানো। দাম
যেখানে বস্তা প্রতি সাধারনত ২০ টাকা ভাড়া সেখানে আদায় করেন দ্বিগুন
ভাড়া। এই সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে কোন কৃষক আলু জমি থেকে নিতে
পারেনা। কৃষকরা বিকল্প পথে নামাতে গেলেও পড়েন নানা বিপাকে। বেড়ে
যায় বস্তা প্রতি পরিবহন খরচ ৩০-৫০ টাকা। ট্রলির মাধমে আলু পরিবহনের
নামে চাঁদাবাজদের কাছে জি¤িœ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এমনটাই
জানিয়েছেন সাধারন আলু চাষীরা। চরকেওয়ার ইউনিয়নে আওয়ামিলীগের
দু’গ্রুপের লোকজন আলাদা আলাদা ট্রলি নামায়। সরেজমিনে চরাঞ্চলের
চরকেওয়ার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শনিবার সকালে এলাকার আলুচাষীরা
আলু পরিবহনের জন্য সাধারন ট্রলি চালকদের মাধ্যমে আলু কোল্ড স্টোরে নিয়ে
যাচ্ছিলেন। আলু চাষী আবু তাহের, হোসেন বেপারী , জাকিরসহ একাধিক
চাষীরা অভিযোগ করে বলেন,উত্তর চরমশুরা গ্রামের জলদস্যু বানিহীর সদস্য রব
ওরফে রক্ষা ডাকাত, দিদার , জাকির হোসেন@ ডাউব্বা ডাকাতসহ তার
বাহিনীর সদস্যরা কৃষকদের আলু উঠা – নামানোর কাজে বাঁধা প্রদান
করেন। আলু পরিবহনের করতে হলে এই বাহিনীর নিজস্ব ট্রলি দিয়ে
কৃষকদেরকে আলু পরিবহন করতে হবে। আর তাদের কথার বাইরে গিয়ে অন্য
ট্রলি দিয়ে আলু জমি থেকে নিতে দেওয়া হবেনা। এবং নিতে হলে বস্তা
প্রতি ৫০ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। এতে কৃষকরা রাজি না হয়ে বলেন
কম দামে অন্য ট্রলির মাধ্যমে আলু পরিবহন করিব। এতে জাকির বাহিনীর
সদস্যরা কৃষকদের উপর চওড়া হন। এ খবর শোনার পর এলাকার বিভিন্ন গ্রাম
থেকে সাধারন মানুষ মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। এ
সময় ক্ষিপ্ত এলাকার কৃষক ও সাধারন জনতা জাকির ও দিদারসহ তার লোকদের
এলাকা থেকে বিতারিত করে দেয়। এই বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা,
ডাকাতি, চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী ও
সাধারন আলু চাষীরা।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে জাকির হোসেন ওরফে ডাউব্বাকে ফোন করিলে
তিনি জানান, আমরা কৃষকদের আলু ট্রলির মাধ্যমে নামানোর কাজ
করছিলাম। এ সময় মাইকে ঘোষনা দিয়ে প্রতিপক্ষরা আমাদের তাড়িয়ে দেন।
মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার নামে যে মামলা আছে সেগুলো
মিথ্যাভাবে হয়রানি করার জন্য দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ
পাঠানো হয়েছে। সাধারন কৃষকদের জি¤িœ করে কেউ যদি ট্রলির মাধ্যম
আলু পরিবহনের নামে অরাজগতা সৃষ্টি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত
ব্যবস্থা নেয়া হবে।#