অনলাইন ডেস্কঃ
জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুই সন্তানকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন খোদ বাবা। আর এই ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকাতেই। বাবা আলমগীর হোসেন বলছেন, সম্প্রতি সালমান ও দীন ইসলাম নামে তার দুই ছেলেকে খুঁজতে বাসায় আসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। পরে তার সন্দেহ হলে শনিবার নিজেই দুই সন্তানকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ বলছে, এই দুজনের ব্যাপারে তদন্ত করছেন তারা। সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
গেলো ২১শে মার্চ রাজধানীর কাজীপাড়া এলাকা থেকে জেএমবির সারোয়ার তামিম গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। ঐদিনই র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, এই চক্রের মূলহোতা সালমান ও মনির নামে আরো দুজনকে খুঁজছেন তারা।
এদিকে সালমানের বাবা আলমগীর হোসেন জানান, সম্প্রতি তার দুই ছেলের খোঁজে বাসায় আসে র্যাব সদস্যরা। পরের দিন পত্রিকা পড়ে জানতে পারেন তার ছেলে সালমান জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া র্যাব সদস্যরা যেদিন বাসায় আসে সেদিনই বাড়ি ছাড়ে মাদ্রাসা থেকে পড়াশোনা শেষে তার সঙ্গে ব্যবসায় যোগ দেয়া দুই ছেলে সালমান ও দীন ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে তার সন্দেহ হলে শনিবার স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে দুই ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি। সালমানের বাবা বলছেন কোনো চাপ নয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই একাজ করেছেন তিনি।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকারই ঐ সমস্ত ছেলেরা। ঐ ছেলেরা ধরা পড়ার আগে আমাদের বাসায় র্যাব-১০ এর সদস্যরা আমার ছেলেকে খুঁজতে আসলো। পরের দিন পত্রিকায় দেখলাম যে, আমার এক ছেলের নাম এসেছে। আমি চিন্তা করালাম, যেহেতু নাম এসেছে এখন আমার আইনের কাছে যাওয়া দরকার।’
এদিকে পুলিশ বলছে, হেফাজতে নিয়ে সালমান সাজেদ ও দীন ইসলাম দীনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তারা। এই দুজন কোনো ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত কি না কিংবা কাদের মাধ্যমে তারা এপথে এসেছে – খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা।
ডিএমপির উপ কমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘তাদেরকে থানাপুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সাথে সাথে আমাদের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরাও করবে। এ ক্ষেত্রে যদি তাদের কোন ধরণের ফৌজদারি অপরাধ বা জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ততা আমরা পাই তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
এই বাবার মতো সমাজের সবস্তরে সচেতনতা আসলে জঙ্গিবাদ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা পুলিশ কর্মকর্তাদের।