প্লাবন গুপ্ত শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ গত রবিবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাতে ৮টি গভীর নলকূপের
বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হওয়ায় অচলাবস্থায় পড়েছে দুই হাজার বিঘা জমির সেচ
কার্যক্রম।
তবে চুরি যাওয়া মিটার ফেরত দিতে মুঠোফোনে বিকাশের মাধ্যমে
১৫হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে গভীর নলকূপ মালিকের কাছে চিরকুটে ক্ষুদে
বার্তা দিয়েছে মিটার চোরেরা।
জানা যায়, উপজেলার ৬নং ভাদুরিয়া ইউনিয়নের নয়ানী জামিরা, সাতআনী
জামিরা মৌজায় আবু তাহের, বড় মহেষপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম, তরিকুল
ইসলাম আরশ আলী, শাল্টিমুরাদপুর গ্রামের আব্দুল ক্বাফী, হাফিজুর রহমানের
ইরো-বোরো জমিতে সেচ কাজে নিয়োজিত ৮টি গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক
মিটার চোরেরা ওই রাতে চুরি করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় দুই হাজার বিঘা
জমির সেচ কার্যক্রম নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন চাষীরা।
বড় মহেষপুর গ্রামের গভীর নলকূপ মালিক তরিকুল ইসলাম বলেন, গভীর
নলকূপের মিটার চুরি যাওয়ার পর চোরেরা একটি চিরকুটে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে
চুরি যাওয়া মিটারগুলো ফেরত পেতে ১৫হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে। একই
সাথে ০১৯৮০৮৭৬৬৩৩ নম্বরের মুঠোফোনে বিকাশের মাধ্যমে চাঁদার টাকা
দেওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ করার কথা ওই চিরকুটের ক্ষুদে বার্তায় উল্লেখ করা
হয়েছে। এ ব্যাপারে অপর গভীর নলকূপ মালিক শাল্টিমুরাদপুর গ্রামের শফি উদ্দিনের
ছেলে হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (ফুলবাড়ি-বিরামপুর) এর রাণীগঞ্জ
আঞ্চলিক দপ্তরের উপ-মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান ৮টি গভীর নলকূপের মিটার
চুরির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গভীর নলকূপের মালিকদেরকে মিটার চুরির বিষয়ে
থানায় অভিযোগ দেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সমিতিরি নিয়মানুযায়ী
নতুন মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, মিটার চুরির
বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বজলুর রশীদ বলেন, মিটার চোর
সিন্ডিকেটের সদস্যরাই গভীর নলকূপগুলো মিটার চুরির সাথে জড়িত। তাদের
বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণসহ চুরি যাওয়া গভীর নলকূপগুলোতে দ্রুত মিটার
স্থাপনের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম নির্বিঘœ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।#