ঢাকা : তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও জঙ্গিরা অস্ত্র ও বোমা নিয়ে গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে যে হামলা পরিচালনা করেছে তা জাতির জন্য এক অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।
সোমবার (৪জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে গুলসানে হলি আর্টিসানে হামলার প্রেক্ষিতে জেএসডি আয়োজিতেএক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলায় দুইজন পুলিশ অফিসারসহ ২০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনা ভবিষ্যতে এর চেয়েও বড় হামলার ইঙ্গিত বহন করছে।’
তিনি সরকারের পতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশে আইএস আছে কি নাই এই বিতর্কে না গিয়ে চলমান জঙ্গিবাদের উৎস ও ইন্ধনদাতাদের খুজে বের করুন।’
দেশের গণতন্ত্রহীন পরিবেশকেই জঙ্গিবাদিরা সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছে জানিয়েছে রব বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের পেছনে গণতন্ত্রহীন পরিস্থিতি সহায়ক ভুমিকা রেখেছে। এ অবস্থায় শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জঙ্গিবাদ নির্মুল করা যাবে না, এর জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যের।’
প্রধানমন্ত্রীরর প্রতি আহ্বান জানিয়ে এই নেতা বলেন, ‘অবিলম্বে রাজনৈতিক বিরোধ, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, পারস্পারিক প্রতিহিংসা ভুলে রাজনৈতিক দল ও সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় কনভেনশন আহ্বান করুন। দেশের রাজনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থাপনা ও আইন কানুনকে বর্তমান সমাজ চাহিদার উপযোগী করে তুলুন।’
নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের রক্ষা করতে পারিনি। অপারেশন যখন করতেই হলো তবে তা আট ঘণ্টা পরে কেন? অপারেশন আগে করা গেলে হয়তো তাদের জীবিত উদ্ধার সম্ভব হতো। তাই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের যে কোনো সংকট, জাতীয় দুর্যোগ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি) গঠন করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে আগমী ১৪ জুলাই বিকাল ৪ টায় জেএসডির কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, সিনিয়র সহ-সম্পাদক এমএ গুফরান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম, শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।