সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও
উপজেলার মেঘনা নদীর চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়
যাত্রীবাহি একটি ট্রলার ডুবে দুই নারী সহ চারজন নিহত ও ১৫ জন যাত্রী
নিখোঁজ রয়েছে। এ ঘটনায় উদ্ধারকৃত আহত তিনজনকে মুন্সিগঞ্জ সদর
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার রামপুরা থেকে
বেলতলী ল্যাংটার মেলায় ৯০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রীবাহি একটি ট্রলার রওয়ানা
করে। পরে মেঘনা নদীর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার চর কিশোরগঞ্জ
এলাকায় পৌছলে বৈরি আবহাওয়ার কারনে অতিরিক্ত ঢেউয়ে চালক নিয়ন্ত্রন
হারিয়ে ফেললে ট্রলারটি নদীর মাঝখানে ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা
ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার (৪০), জোহরা বেগম (৭২), কাঞ্চন
বেগমের (৬৮) লাশ ও অন্যন্য যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয় এলাকাবাসী। এ সময়
আহতদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জের সদর হাসপাতালে প্রেরন করলে সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত এক শিশু মারা যায়। ট্রলারে থাকা অপর যাত্রীরা
সাতরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও এখনও ১৫ জন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা
গেছে। নিখোঁজদের সন্ধানে মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত ৮টা
থেকে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সাড়ে ৮টা)
কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ট্রলারে থাকা ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আবু বকর জানান, তারা ঢাকার
রামপুরা থেকে ৯০জন যাত্রী নিয়ে বেলতলীর ল্যাংটার মেলায় যাচ্ছিলেন তাদের
বহনকারী ট্রলারটি মেঘনা নদীতে অতিরিক্ত ঢেউয়ে হঠাৎ তলিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আশপাশ থেকে ট্রলার নিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে। কিছুক্ষন পর তার
শ্বাশুড়ী জোহরা বেগম ও ফুফু শ্বাশুড়ী কাঞ্চন বেগম সহ তিন জনের লাশ ভেসে
উঠে।
মুন্সিগঞ্জ ফায়ার ষ্টেশনের ওয়্যার হাউজ পরিদর্শক মন্টু বিশ্বাস জানান,
ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা তিনটি লাশ উদ্ধার করেছে। মুন্সিগঞ্জ সদর
হাসপাতালে নেওয়ার পর অজ্ঞাত একজন শিশু মারা যায়। অন্যান্য যাত্রীরা প্রাথমিক
চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ঢাকা থেকে ডুবুরী দল এলেই আমরা
উদ্ধার কাজ পরিচালনা করবো।