নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
এক সময় নৌকা ছাড়া পার হওয়া যেত না তিস্তা নদী। সেই খর¯্রােতি তিস্তা
নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। তিস্তার বুক জুড়ে ভেসে উঠেছে ধূ-ধূ
বালুচর। এখন তিস্তার বুকে চলছে মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল, ভ্যান, রিক্সা,
ঘোড়ার গাড়ি। সেই কারণে তিস্তার বুকে নির্মাণ করা হচ্ছে রাস্তা।
বেলকা ইউনিয়নের বেলকা বাজার হতে কাশিম বাজার রুটে নির্মাণ করা
হচ্ছে এলজিএসপি’র প্রকল্পের বরাদ্দের রাস্তা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গত ২ মাস
পূর্বে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ইতিমধ্যে গাইবান্ধা জেলার সাবেক
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামছুল আজম, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী
অফিসার-হাবিবুল আলম, বর্তমান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার
রাস্তা নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্ল্যাহ্ধসঢ়;
জানান-স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত নদী খনন ও ড্রেজিং না করায় উজান থেকে
নেমে আসা পলি জমে গভীর তিস্তা নদী ভরে উঠেছে। তিস্তার কড়াল গ্রাসে জমি-
জিরাত খুয়ে যাওয়া পরিবারগুলো ফিরতে শুরু করেছে বাপ-দাদার বসতভিটায়। তাদের
চলাফেরার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে এই রাস্তা। প্রায় ৪০০ মিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্য
রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বেলকা বাজারের ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক
জানান-চরাঞ্চলের বসবাসরত মানুষজনের চলাচলের জন্য তিস্তা নদীর মাঝে নির্মিত
রাস্তা অনেক উপকারে আসবে। এখন তো নৌকা চলে না। পায়ে হেঁটে যাতায়াত
করতে হয়। বেলকা নবাবগঞ্জ চরাঞ্চলে বাসিন্দা বাউল একরামুল হক লাল মিয়া জানান-
গোটা তিস্তার চরাঞ্চল এখন বসবাস যোগ্য হয়ে পড়েছে। তাদের চলা-ফেরার জন্য আরও
রাস্তা নির্মাণ একান্ত প্রয়োজন। গোটা চরাঞ্চলে এখন রাস্তা নির্মাণ করা যাবে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার-এস.এম গোলাম কিবরিয়া জানান-তিস্তার চরাঞ্চলে
মানুষ বসবাস করতে শুরু করেছে। এজন্য এখন তাদের চলাফেরার প্রয়োজনে রাস্তা
নির্মাণ জরুরী।