মোঃ আরিফ জাওয়াদ, দিনাজপুর: মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানায় নিহত ৭ জন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ডাঙ্গা গ্রামের লোকমান আলী ও তার স্ত্রীসহ ৫ সন্তান বলে ধারণা করছেন তার শ্বশুর একই উপজেলার কলাবাড়ি গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক।
গত বৃহস্পতিবার (৩০শে মার্চ) মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাসিরপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আত্মহননকারী সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘২৯ মার্চ রাত ১টার দিকে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। কল রিসিভ করার পর আমার বড় নাতনি মোছাঃ আমেনা খাতুনের কণ্ঠ ভেসে আসে, যাকে লোকমান আলী ২ মাস আগে বগুড়ায় বিয়ে দিয়েছেন। ফোনে তার নাতনি দু-একটি কথা বলার পর তার মা মোছাঃ শিরিনা আক্তারের হাতে দেয়। শিরিনা আক্তার আমার সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলে। শিরিনা আক্তার জানিয়ে দেয়- আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। আমাদের সঙ্গে আর কোনোদিন দেখা হবে না। তখন আমি বলি, কয়েকদিন আগেই তোমার নামে আমি ১ বিঘা জমি দিয়েছি। তুমি কোথায় আছো, একটু ঠিকানা বল- আমি সেখান থেকেই নিয়ে আসবো।
মেয়ে জানিয়েছিল আমাদের যাওয়ার কোন উপায় নেই। এ সময় আমি বুঝতে পেরেছিলাম পাশেই জামাই লোকমান আলী আছে। পরে বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদে বুঝতে পারি আত্মহননকারী ৭ জনই আমার মেয়ে-জামাই ও নাতনিরা।’
আবু বকর সিদ্দিকের ধারণা আত্মহনন কারীরা হলো, লোকমান আলী (৪৫), মেয়ে মোছা. শিরিনা আক্তার (৩০), নাতনি আমেনা খাতুন (২১), সুমাইয়া (১২), মরিয়ম (১০), ফাতেমা (৭), খাতিজা (৭ মাস)। লোকমান আলী ঘোড়াঘাট উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র, বলে জানা যায়।