মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের
মাকহাটির মোল্লা কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার আনিছ সরকারের উপর সন্ত্রাসী হামলার
খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, মধ্য মাকহাটী গ্রামের আল আমিন
জোর পূর্বক কোল্ড স্টোরে আলু মজুদ করার চেষ্টা করেন। এ সময় কোল্ড স্টোরটির
ম্যানেজার আনিছ আলামিনকে জানায় হিমাগারে আলু রাখার মত জায়গা নেই।
আমাদের কোল্ড স্টোর আগে থেকেই ফিলাপ হয়ে গেছে। আমরা ধারন ক্ষমতার বাইরে
আর কোন আলুর বস্তা স্টোরে রাখতে পারব না। আপনি চলে যান। এই কথা শোনার পর
আলামিন ক্ষিপ্ত হয়ে বলে আনিছ তোকে দেখে নিব বলে হুমকি দিয়ে চলে আসে।
মঙ্গলবার দুপুরে ম্যানেজার আনিছ বাড়ী ফেরার পথে আলামিন ও তার আপন ভাই
সোলেমান আনিছের পথ গতিরোধ করেন। এবং আনিছকে মারধর করে তার সঙ্গে
থাকা ব্যাগ ভর্তি কোল্ড স্টোরের ক্যাশ ৭ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনা শোনার
পর পর সিরাজ সরকার, ইমরানসহ কয়েকজন আলামিনের বাড়ীতে গিয়ে হামলার কারন
জানতে চাইলে উল্টো আলামিন ও তার ভাই আরো ক্ষিপ হয়ে তাদেরকে মারধর করার
চেষ্টা করে। এ সময় দু”পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের
ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় গ্রামবাসীরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ সময় দু’পক্ষের ৪-
৫ জন সামান্য আহত আহত হন। তাৎক্ষনিক স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করে
দেন স্থানীয়রা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, আলামিন প্রতিপক্ষকে
ফাঁসাতে তার আপন ভাই সলেমান এই দুই জন মিলে তাদের বসত ঘর নিজেরাই
ভাংচুর করেন। এবং এ ঘটনায় সোলেমানের স্ত্রী স্বপ্না বেগম উল্টো সদর থানায়
ঘরভাংচুর ও টাকা লুটে নিয়েছে বলে আনিছের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
আহত ম্যানেজার আনিছ জানান, আমাকে মারধর করেছে এবং আমার টাকা পয়সা
আলামিন ও সোলেমান লুনে নিয়েছে। এখন নিজেরাই নিজেদের ঘরের ভিতরে ভাংচুর
করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে আলামিন ও সোলেমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ
করেও তাদের পাওয়া যায়নি। পরে কথা হয় সোলেমানের স্ত্রী স্বপ্না বেগমের সঙ্গে।
তিনি জানান, রাস্তায় মারামারি হয়েছে সেখানে আনিছ বলে বেড়াচ্ছে তার ব্যাগ
থেকে ৭ লক্ষ টাকা আমার স্বামী নিয়ে গেছে। আমার স্বামী কারো কোন টাকা
পয়সা নেয়নি আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,
আমাদের ঘর দরজা প্রতিপক্ষের লোকজন ভাংচুর করেছে সেজন্য আমি বাদী হয়ে
থানায় আনিছের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। আপনার ঘর ভাংচুর এবং টাকা
পয়সা লুটে নিয়েছে এমন কোন স্বাক্ষী আপনার বাড়ীর পাশের কেউ আছে? এমন
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন কেউ আমাদের পক্ষে স্বাক্ষী দিবেনা। আমাদের পক্ষে
কেউ স্বাক্ষী দিবেওনা কারন স্বাক্ষীরা ভয় পায়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এস আই হাশেম জানান, আলু সংরক্ষনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা
ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।#