সৌদি আরবের প্রধান মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল-শেখ জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) ইসলামের এক নম্বর শত্রু বলে অভিহিত করেছেন। আল অ্যারাবিয়ার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল প্যান অ্যারাবের সংবাদেও দেশটির প্রধান আলেমের এই বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।মুফতি শেখ আব্দুল বলেছেন, ‘চরমপন্থা, উগ্রপন্থা কিংবা সন্ত্রাসবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। এসব যারা করছে তারাই ইসলামের এক নম্বর শত্রু।’
তিনি ইরাক এবং সিরিয়ার কিছু অংশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গি দল ইসলামিক স্টেটের খেলাফত আন্দোলন ও আলকায়েদাকে ইসলামের প্রধান শত্রু বলে চিহ্নিত করে এমন মন্তব্য করেন।
গত বুধবার, বিশ্বসন্ত্রাস মোকাবেলায় জাতিসংঘের সন্ত্রাসবিরোধী কেন্দ্রে (ইউএনসিসিটি) ১০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তাও করেছে সৌদি আরব।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সৌদি অ্যাম্বাসেডর আদেল আল জুবায়ের বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এমন একটি অপশক্তি যেটাকে পৃথিবীর বুক থেকে নির্মূল করতে হলে আন্তর্জাতিক ঐক্য প্রয়োজন। ইউএনসিসিটি পৃথিবীর একমাত্র সংস্থা যার এই কাজে বৈধতা রয়েছে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য থেকেও জাতিসংঘ সন্ত্রাসবিরোধী কেন্দ্রে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। বিশ্বের এই পরাশক্তিরা ২০১১ সাল থেকেই ইরাক ও সিরিয়া বিমান হামলা চালাচ্ছে আইএসের বিরুদ্ধে।
সোমবার ইসলামিক স্টেট যুক্তরাষ্ট্রকেও হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পৃথিবীর যেকোন জায়গায় মার্কিনীরদের উপরে হামলা হতে পারে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ বোমা হামলা করে অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছে আইএস। সম্প্রতি ঢাকার গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় আইএসের হামলায় নিহত হয়েছে দেশি বিদেশিসহ ২২ জন। আরও হামলার হুমকি আসছে।