অনলাইন ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, এবারের সফরে না হলেও শিগগিরই তিস্তাচুক্তি সই হবে।
সোমবার সকালে নয়াদিল্লির একটি হোটেলে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের দেওয়া সংবর্ধনায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তাচুক্তি সই হলে দুই প্রতিবেশি দেশের সম্পর্ক রূপান্তরে নতুন পর্যায়ে অতিক্রম করবে। আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায় ভরসা রাখছি। আশা করি শিগগিরই এর সমাধান হবে।
তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পানি সম্পদের জন্য সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সুষ্ঠভাবে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন করতে হবে। এর মাধ্যমে অববাহিকাভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনা আমাদের সবার ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।
গত শনিবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এক ব্রিফিংয়ে জানান, দু’দেশের মধ্যে ৩৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে ২২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই সচিবের ব্রিফিং থেকে স্পষ্ট হয় ২২টি চুক্তি এবং ১৪টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক পাঁচটি, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা সম্পর্কিত চারটি এবং দক্ষিণ এশিয়ায় স্যাটেলাইট ব্যবহার বিষয়ক তিনটি চুক্তি রয়েছে। এর বাইরে বাণিজ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন, তথ্যপ্রযুক্তি, সীমান্ত নিরাপত্তা প্রভৃতি বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
চার দিনের সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার বিকেলে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।