ঢাকা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রয়োজনে বিদেশি সহযোগিতা চাইবে সরকার। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সের কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে প্রতিবেশি ও বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে।’
মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) বিকেল সোয়া ৫টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
একই বিষয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সকালে ঢাকায় দায়িত্বরত কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও। ওই ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদকে বিশ্বের অভিন্ন সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান মন্ত্রী।
এর আগে গত শুক্রবার (০১ জুলাই) রাতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুলশানের অভিজাত হলি অর্টিসান রেস্টুরেন্ট দখলে নেয় সন্ত্রাসীরা। রেস্টুরেন্টে রাতের খাবারের জন্য অপেক্ষমান দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
ওই ঘটনার চতুর্থ দিনে সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকদের এবং বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ অবহিত করতে প্রেস বিফ্রিং করলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। এজন্য তারা গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে এ হামলা চালিয়েছে।’ সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করছে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা।’ সন্তানদের ব্যাপারে সচেতন হতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিহত সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করেছেন তাদের অভিভাবকরা। ওই পরিচয় থেকে দেখা গেছে যে, সন্ত্রাসীরা সবাই বাংলাদেশের বিভিন্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।’ দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন সময় যেসব জঙ্গি কর্মকাণ্ড ইতোপূর্বে করা হয়েছে, এ ঘটনাও তারই অনুবৃত্তিক্রম বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের ডিজি বে