বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
এক হতঃদরিদ্র পরিবারের মেয়ে দুলালী আক্তার (১৪)। মা-বাবা আলাদা হয়ে যাবার
পর একা হয়ে যায় সে। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে ক্ষুধার তরোনা
মিটাতে দিনাজপুর সদরের প্রভাবশালী ব্যাক্তি জেলা স্কুলের শিক্ষক আনিসুর
রহমানের বাসায় কাজের বুয়া হিসেবে আশ্রয় নিয়েও শেষ পর্যন্ত নিজের
জীবন টিকিয়ে রাখতে ব্যার্থ হলো সে। দিতে হলো নিজের প্রান
বিসর্জন। কিন্তু এটি আত্মহত্যা, নাকি পরিকল্পিত হত্যা সে বিষয়টি
এখনো রহস্যে ঘেরা।
নিহত দুলালী আক্তার বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের
আমিনুল ইসলামের মেয়ে।
গত সোমবার (১০ এপ্রিল) রাত ৮ টার সময় শহরের বিশিষ্ট আব্দুস সামাদের
ছেলে ও জেলা স্কুলের শিক্ষক আনিছুর রহমান তার বাড়ীর গৃহপরিচারিকা দুলালী
আক্তরকে মূমুর্ষ অবস্থায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ
হাসাপাতালে নিয়ে আসার পর জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধ্রুব
জ্যোতি সিনহা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে গৃহকর্তা শিক্ষক আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বাড়ীর
বাড়ান্দায় রেলিং-এর সাথে একটি রশি ঝুলানো ছিল। খেলতে খেলতে
দৌড়াতে গিয়ে এক পর্যায়ে ঐ রশি তার গলায় ফাঁস লাগে এবং দুলালী
গুরুত্বর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসাপাতালে নিয়ে
আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার এস.আই বারী জানান, “মেয়েটি পড়ে গিয়ে
ঘরের দরজায় বাড়ি লেগে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর সাথে সাথে হাসপাতালের
জরুরী বিভাগে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ধ্রুব জ্যোতি
সিনহা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন, এমনটি জানিয়েছেন গৃহকর্তা
আনিসুর রহমান। তবে নিহত দুলালীর মাথায় এবং গলায় আঘাতের চিহৃ
রয়েছে। এটি হত্যাকান্ড নাকি এক দুর্ঘটনা তা ময়না তদন্তের পরেই জানা
যাবে।”
এবিষয়ে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) রেদওয়ানুর
রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়না তদন্তের শেষে জানা যাবে বিষয়টি আসলে কি! এরপরই প্রয়োজনীয়
আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।”