গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি
সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষনেতা মুফতি আব্দুল
হান্নান মুন্সীর ফাঁসির রায় কার্যকর শেষে তার লাশ
কোটালীপাড়ায় দাফন করা নিয়ে এলাকায় মিশ্র
প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী ঘোষণা দিয়েছে
যে কোনো মূল্যে তার লাশ গ্রামের বাড়ি হিরণে দাফন
করতে দেওয়া হবে না।
মুফতি আব্দুল হান্নান মুন্সীর ফাঁসির রায় যে কোনো
সময় কার্যকর হবে। রায় কার্যকর হওয়ার পর তার লাশ গ্রামের
বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামে
পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে
জানা গেছে। ইতোমধ্যে হিরণ গ্রামে পারিবারিক
কবরস্থানে মুফতি হান্নানের লাশ দাফনের সকল প্রস্তুতি শেষ
হয়ে গেছে বলে বিশ্বস্থ একটি সূত্র জানিয়েছে।
এলাকার মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ গ্রামবাসী ও আওয়ামী
রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা তার লাশ কোটালীপাড়ায় দাফনের
ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন। এখানে যাতে এই শীর্ষ জঙ্গি
নেতার লাশ দাফন না হয় তার জন্য ইতোপূর্বে
কোটালীপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন কর্মসূচি
পালন করেছে তার নিজ গ্রামবাসী।
কোটালীপাড়ার হিরন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবাদুল হক
মুন্সী নিজেই ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, যে কোনো মূল্যে
হান্নান মুন্সীর লাশ এলাকায় ঢুকতে দেবেন না। জনগণকে
সঙ্গে নিয়ে তিনি এই শীর্ষ সন্ত্রাসীর লাশ এখানে কবর
দিতে দেবেন না। হিরণের মাটি মুফতি হান্নান কলঙ্কিত
করেছে। তাই এই কলঙ্কিত লাশ তার গ্রামের বাড়িতে কবর
দিতে দেবেন না বলে জানান ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
এদিকে কারা কর্তৃপক্ষের চিঠি অনুযায়ী মুফতি
হান্নানের পরিবারের চারজন সদস্য কাশিমপুর কারাগারের
যান। সেখানে তার বড়ভাই আলিউজ্জামান মুন্সী, স্ত্রী রুমা
বেগম এবং বড় মেয়ে নিশি খানম তার সঙ্গে দেখা করেন।