বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

সার্ভিস লোকাল চললেও ভাড়া রাখছে সেই সিটিংয়ের

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৭
  • ১৫০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্কঃ

মালিকদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে পরিবহণের ভাড়া বাড়িয়েছে সরকার। তবে শর্ত ছিল লোকাল বাসে ৮০ শতাংশ আসন পূর্ণ হলেই গাড়ি চলাচল করবে। কিন্তু সরকারের এ শর্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজধানীতে চলাচল করছে সবকটি পরিবহন। সেইসঙ্গে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ।সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী, মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ৫ টাকা। আর বাসের সর্বনিম্ন হবে ৭ টাকা। চালকসহ যে বাসের সর্বোচ্চ ৩১টি সিট থাকবে তা মিনিবাস। আর এর বেশি থাকলে সেটি হবে বাস।

এছাড়াও গণপরিবহনে প্রতিকিলোমিটারে ভাড়াও পরিমাণ নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সেখানে সর্বোচ্চ বাড়া হচ্ছে ১ টাকা ৪২ পয়সা। কিন্তু তা মানে না পরিবহন সংশ্লিষ্ট কেউ। নির্ধারিত ভাড়া দ্বিগুণ আদায় করা হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে।

প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সা হিসেবে যাত্রাবাড়ী থেকে মতিঝিল ও গুলিস্তানের ভাড়া সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ টাকা। কারণ যাত্রাবাড়ী থেকে মতিঝিল ও গুলিস্তানের দূরত্ব তিন কিলোমিটার। কিন্তু এ রুটে চলাচল করা পরিবহনগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বাবদ আদায় করছে ১০ টাকা। যাত্রীদের কাছে থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করলেও কারো কিছু বলার নেই।তবে কিছুটা ব্যতিক্রম গাবতলী রুটে চলাচল করা ৮ নম্বর। এ পরিবহনটি আগের মতোই মতিঝিল পর্যন্ত ৫ টাকা ভাড়া নিচ্ছে।

অন্যদিকে মিরপুর থেকে গুলিস্তান রুটে চলাচল করা সিটিং সার্ভিসের ভাড়া হচ্ছে ২৫ টাকা। কিন্তু সেখানে লোকাল সার্ভিস হওয়ার পরও কমেনি ভাড়ার পরিমাণ। আগের সিটিং সার্ভিসের ভাড়াই নেয়া হচ্ছে যাত্রীদের থেকে। শুধু অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নয়। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে পরিবহন শ্রমিকরা।

কোথাও কোথাও ১০ মিনিট পর্যন্ত দাড়িয়ে থাকছে বাস।ফলে সময়মতো কর্মস্থলে যেতে বেগ পেতে হচ্ছে অফিসগামীদের। ৩১ বা তার বেশি আসনের পরিবহনে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী। গেটেও বাদুড় ঝুলা ঝুলছে যাত্রীরা। এ নিয়ে পরিবহণ শ্রমিকদের দাবি এখনতো আর সিটিং সার্ভিস নেই।

লোকাল এমনই চলে। আমাদের কিছুই করার নেই। যার ইচ্ছে সে যাবে।এদিকে রোববার সকালে বিআরটিএর অভিযান দেখতে গিয়ে সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো ধরনের যাত্রী হয়রানি সহ্য করা হবে না। যারাই যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।তিনি বলেন, যতদিন গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না ততদিন এ অভিযান চলতে থাকবে। যারা আইন অমান্য করবে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451