অনলাইন ডেস্কঃ
গণপরিবহনে সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়াসহ কোনো জনভোগান্তি সহ্য করা হবে না বলে সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাফ জানিয়ে দিলেও রাজধানীর বিভিন্ন রুটে তথাকথিত সিটিং সার্ভিস গাড়িগুলো অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে আগের মতোই বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার রাজধানীর সাতরাস্তা মোড়ে পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহনে অবৈধভাবে সংযোজিত বাম্পার, এঙ্গেল ও হুক অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিটিং সার্ভিস বন্ধে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরার আগ পর্যন্ত বিআরটিএ এর চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভাড়ার নামে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা মেনে নেয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাজধানীর গুলশান নতুন বাজার থেকে মহাখালী-আগারগাঁও-গাবতলী হয়ে সাভার রুটে চলাচল করা অগ্রদূত পরিবহন এবং খিলগাঁও থেকে মিরপুর রুটের হিমাচল পরিবহনে লোকাল সার্ভিসের মতো অতিরিক্ত যাত্রী নিলেও রোববার আগের মতোই অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই গাড়ীগুলো এতদিন তথাকথিত সিটিং সার্ভিসের নামে বেশি ভাড়া আদায় করে আসলেও অতিরিক্ত যাত্রী নিতো না বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কৌশল বন্ধ করতে গণপরিবহনে সিটিং, গেটলক ও স্পেশাল বাস সার্ভিস আজ থেকে বন্ধ হয়েছে। তবে সরকার এবং পরিবহন মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার রাজধানীর বিভিন্ন রুটে তথাকথিত সিটিং সার্ভিস গাড়িগুলো লোকালের মতো অতিরিক্ত যাত্রী নিলেও আগের মতোই বেশি ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি। ওই দিন সমিতির পক্ষ থেকে বিআরটিএ নির্ধারিত চার্ট অনুসরণ করে গণপরিবহনগুলোকে ভাড়া আদায়ের কথা বলা হয়। কিন্তু এতদিন সিটিং সার্ভিস হিসেবে চলা বেশিরভাগ গাড়ীতে বিআরটিএ’র চার্ট দেখা যায়নি।