নুরে শাহী আলম লাবলু, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ের তা-বে ৬শ
পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে এক হাজার ৫০০টি। সব চেয়ে বেশি
ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নে। আহত হয়েছে একজন।
গত শনিবার (১৫এপ্রিল) বিকাল সাড়ে পৌণে ৫ দিকে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে
প্রচন্ড বেগে ধেয়ে আসা কাল বৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার
সব কিছু লন্ড-ভন্ড হয়ে যায়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপি ঝড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি, গাছপালা, কলা বাগান, ভ্ধুসঢ়;ট্টা ক্ষেত, দোকানপাট, বৈদ্যুতিক
খুঁটি দুমড়ে-মুছড়ে যায়। এছাড়া ফলন্ত বোরো ধান, শাক-সবজি ক্ষেত, পানের বরজের
ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যুতের লাইন ৩/৪ স্থানে বিছিন্ন হওযায়
২০ ঘন্টা উপজেলার কোথাও বিদ্যুৎ ছিলনা। যার কারণে উপজেলার সর্বত্রই থাকে অন্ধকারে
নিমজ্জিত। বিদ্যুৎ না থাকায় অফিস আদালতেও কাজ কর্মে বিঘœ ঘটে। ঝড়ে ঘর-বাড়ি
রক্ষা করতে গিয়ে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের পাইটকাপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার পুত্র বাদশা
মিয়া গুরুত্বর আহত হয়েছেন। ঝড়ের সাথে তাল মিলিয়ে মুষুল ধারে বৃষ্টি পরে। অনবরত
আকাশে বিদ্যুৎ চমকায় মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সে বিকেলের এই কাল বৈশাখী
ঝড়ের সময় ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী
সরকার জানান, কাল বৈশাখী ঝড়ে ৬শ’ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে সম্পুর্ন
ক্ষতিগ্রস্থ ২শ’ পরিবার, আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ ৪শ’ পরিবার। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর
জনসংখ্য ২ হাজার ৫০০। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম জানান, কাল
বৈশাখী ঝড়ে ধান ৯৫০ হেক্টর, ভুট্টা ৩১ হেক্টর, পানের বরজ ৫ হেক্টর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ
হয়েছে। গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে এক হাজার ৫০০টি । এছাড়া বজরা কঞ্চিবাড়ি মতিন
মিয়ার বাড়ির আনন্দ স্কুল, বাগানের ঘাট মহিলা দাখিল মাদ্ধসঢ়;রাসা, ধোপাডাঙ্গা
ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজিবপুর ডাঙ্গিরপাড় নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিশ^াস
হলদিয়া ধনের ভিটা নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আকন্দপাড়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা,
বজরা হলদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, সর্বানন্দ ইউনিয়নের আজেপাড়া দাখিল মাদ্রাসা,
রামজীবন ইউনিয়নের বেকাটারী নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদসহ ২০/২৫টি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম গোলাম
কিবরিয়া জানান, ঝড় থেমে যাওয়ার পর রাতেই তিনি বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন।
গতকাল রবিবার সকাল থেকে নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা আহমেদ
কঞ্চিবাড়ি, শ্রীপুর, চন্ডিপুর, শান্তিরাম, ছাপড়হাটি, ধোপাডাঙ্গা,রামজীবন,
সর্বানন্দ, বেলকা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।