ঢাকা: বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে দেখা গেছে শাওয়াল মাসের চাঁদ। আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদ উল ফিতর। বছর ঘুরে আবারও এসেছে খুশির ঈদ।
এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ এই খুশির ঈদ উদযাপনের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুসলমানরা।
ইতিমধ্যে দেশবাসী মেতেছেন ঈদের আনন্দে। টিভি-বেতারে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই বাজতে শুরু করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের কালজয়ী সেই গান ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশির ঈদ…’। পাড়া-মহল্লার মসজিদ থেকেও ঘোষণা করা হয়েছে ‘ঈদ মোবারক’।
চাঁদ দেখার পর শুরু হয়েছে উৎসব। শিশু-তরুণ-বৃদ্ধ সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে ঈদগায়ে গিয়ে নামাজ আদায়ের। কিশোরী-তরুণীরা শুরু করেছে মেহেদিতে হাত রাঙাতে।
মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই আনন্দ-উৎসব সামাজিক সম্প্রীতি আর সাম্যচেতনায় ভাস্বর। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই ঈদের আনন্দে শামিল হবে- এটাই এই উৎসবের মূল মর্মবাণী। মাসজুড়ে রোজা পালনের মাধ্যমে সংযম আর ত্যাগের শিক্ষা অর্জন এই আনন্দের জন্য প্রস্তুত করেছে প্রতিটি মুসলমানকে।
ধনী-গরিব সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করছে স্বজন-পরিজন নিয়ে দিনটি উদযাপনের। ঈদের কেনাকাটা সেরে তাই সবাই ছুটেছে মাটি ও নাড়ির টানে শহর ছেড়ে গ্রামে। স্বজন-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মিলনের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গেছে পথে পথে।
এ উপলক্ষে হাসপাতাল, এতিমখানা ও বন্দীদের জন্য কারাগারগুলোতে উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা থাকছে। ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দিতে আছে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও এফএম রেডিওর ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
পবিত্র ঈদ উল ফিতরের জামাতের জন্য প্রস্তুত রাজধানীসহ দেশের ঈদগাহগুলো। বরাবরের মতো দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। রাজধানীতে তিন শতাধিকেরও বেশি স্থানে ঈদ জামাতের ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন।
রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মাঠ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।