শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গতকাল মঙ্গলবার দুইদিন ব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেছেন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান
ফিজার এমপি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে উপজেলা প্রশাসন এবং জাতীয়
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে আয়োজিত বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান
ফিজার এমপি। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের
সভাপতি মো. হায়দার আলী শাহ, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো.
নাসিম আহম্মেদ, অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান মাসুদ, থানার অফিসার ইনচার্জ
(ওসি) শেখ নাসিম হাবীব প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.
মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি বলেন, একাত্তরে গণিমতের মাল বলে
আমাদের নারীদেরকে যারা খানসেনাদের হাতে তুলে দিয়েছিল, তারাই আজ
ইনসাফ আর ইসলামের কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এদের বিষয়ে
শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলকে সজাগ ও সর্তক থাকতে হবে। যারা পচাত্তরের পনের
আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সকল
সদস্যদেরকে হত্যা করেছে এবং হত্যাকারিদের যারা মদদ যুগিয়েছে এবং সমর্থন
দিয়েছে তারা কেউই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি না। এরা জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য
দিয়ে দেশটাকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ
হয়েছে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সেই সব খুনিদের বিচার করেছেন। বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। যারা
পলিয়ে আছে তাদেরকেও দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষা-দীক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে নিজেদেরকে
উপযুক্ত দক্ষ করে তুলতে হবে। যাতে করে পৃথিবী জুড়ে প্রতিযোগিতায় অংশ
নিয়ে জয়ী হয়ে উপযুক্ততা প্রমানের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। একই
সাথে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
এদেশে কোন জঙ্গীবাদের স্থান হবে না। জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার জন্য
নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে হবে।
মেলায় দুইটি কলেজসহ ১১টি স্কুলের স্টল স্থান পেয়েছে। প্রতিটি স্টলে ক্ষুদে
বিজ্ঞানীরা তাদের নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রদর্শন করেন। মেলায় বিভিন্ন
শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত।