মোঃ বাবুল হোসেন, পাঁচবিবি(জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কড়িয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার এবতেদায়ী
স্তরের প্রধান মওলানা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন
হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
যৌন হয়রানীর শিকার ছাত্রীর নানী পশ্চিম কড়িয়া গ্রামের বেগম অভিযোগ করে বলেন,
গত বুধবার ক্লাস চলাকালীন সময়ে মওলানা অনোয়ার ওই ছাত্রীর স্পর্শ কাতর স্থানে হাত
দিয়ে যৌন হয়রানী করেন।
এমন অশালীন আচরণ করায় ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার অভিভাবককে জানালে ছাত্রীর নানি
বেগম ও মামা রেজাউল করিম মাদ্রাসায় এসে বিষয়টি নিয়ে মাদ্ধসঢ়;রাসা অধ্যক্ষকে
অভিযোগ করেন বলে তারা জানান।
রেজাউল করিম সাংবাদিকদের আরো বলেন, ‘এ ব্যাপারে বিচার চাইলে অভিযুক্ত আনোয়ার
আমার পা ধরে ক্ষমা চাইলেও এটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বলে আমরা বিচার চেয়েছি।’
তবে অধ্যক্ষ কোন তদন্ত কমিটি গঠন না করে বিষয়টি সুরাহা করতে মাদ্রাসার সহকারী
মৌলভী ও ধরঞ্জি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শাহনূর হোসেন এর উপর দায়িত্ব দেন।
শাহনূরসহ কয়েকজন শিক্ষক যোগসাজোস করে অভিযুক্ত আনোয়ারের বিরুদ্ধে কোন
আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে মনগড়া তিরষ্কার করার নামে ক্ষমা করে দেন বলে অধ্যক্ষের
বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক অনেক অভিভাবক।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক কয়েক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বলেন, ইতিপুর্বেও ওই মাদ্রাসায়
শিক্ষার্থীক কান ধরে উঠাবাসাসহ এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও মাদ্রাসা অধ্যক্ষ
কোনই পদক্ষেপ না নিয়ে বিষয়গুলো তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকেন।
তাদের অভিযোগ,অধ্যক্ষ অনেক সময় বিচার কাজের জন্য লোক দেখানো তদন্ত কমিটি
বানিয়ে অভিভাবক ও অপরাধীকে ডেকে দায় সারা বিচারের নামে অপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়ে
থাকেন।
অভিযুক্ত আনোয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনার কাছেই শুনিতেছি পারিলে
আপনি স্বাক্ষাতে কথা বলেন।
মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান বলেন, এসব অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের বিষয় গুলো মৌখিক
ভাবে জানালেও কেউ লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন না বলে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না বলে
শুধু মাত্র অভিযুক্তকে তিরষ্কার করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না।
এ ধরনের ঘটনার পর মাদ্রাসায় বিশেষ করে তাদের মেয়েদেরকে শিক্ষার জন্য মাদ্রাসাটিতে
পাঠিয়ে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এব্যাপারে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরউদ্দিন আল ফারুক
জানান,বিয়ষটি আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।