নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কাল বৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ায় বেকাটারী ও বিশ^াস হলদিয়া
ধনের ভিটা নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করা হচ্ছে।
তাই আকাশে মেঘ দেখলেই শিক্ষার্থীরা বই-খাতা গুছিয়ে প্রস্তুতি নেন বাড়ি যেতে।
জানা গেছে উপজেলার রামজীবন ও ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বেকাটারী ও বিশ^াস হলদিয়া ধনের
ভিটা নব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি ২০০৯ সালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠা করেন।
২০১৩ সালে বিদ্যালয় দুট্ধিসঢ়; জাতীয়করণ করা হয়। টিনসেড ঘরে চলে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম। গত
১৫ এপ্রিল কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়টির টিনের চাল উড়ে নিয়ে যায়। সেই থেকে বিদ্যালয় দুটিতে
লেখাপড়া করার অনুপোযুক্ত হয়ে পড়ে। যার কারণে বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান
কার্যক্রম। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজেই পাঠদান গ্রহণ করছে। মেঘ দেখলেই
শিক্ষার্থীরা বই খাতা গোছগাছ শুরু করেন। উক্ত বিদ্যালয় দুটিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায়
পাশের হার শতভাগ রয়েছে। সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায় খোলা আকাশের নিচে
পাঠদানের কারণে অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। বেকাটারী বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী
মঞ্জু মিয়া (রোল নং-১৮), চতূর্থ শ্রেণির ছাত্রী পল্লবী রানী (রোল নং- ১৫) জানান কাল বৈশাখী ঝড়ে
আমাদের বিদ্যালয়টি বিধ্বস্ত হওয়ায় এখন অনেক শিক্ষার্থী আসছে না। কারণ বসার জায়গা নেই,
নেই পায়খানা-প্রসাবের ব্যবস্থা। এজন্য শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই সরকারিভাবে
পাকা ভবন জুরুরী ভিত্তিতে নির্মাণ করা দরকার। এনিয়ে কথা হয় সহকারি শিক্ষক মহসিনা বেগমের
সাথে। তিনি জানান, ভবন না থাকার কারণে ঠিকমত পাঠদান করা সম্ভব হয় না। কারণ খোলা আকাশের
নিচে পাঠদানে শিক্ষা উপকরণের সঠিক ব্যবহার করা যায় না। বেকাটারী নব সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোজাফ্ধসঢ়;ফর হোসেন ও বিশ^াস হলদিয়া ধনের ভিটা নব সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেকুল ইসলাম’র সাথে কথা হলে তারা জানান গত ১৫ এপ্রিল
ঝড়ে বিদ্যালয় দুটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে লেখাপড়ায় ভাটা পড়েছে। ঝড়ে বিধ্বস্তের তথ্য উপজেলা
প্রশাসনকে পৃথক পৃথকভাবে অবহিত করা হয়েছে।