আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : দীর্ঘ ময় বছর প্রেমের সর্ম্পকের পর প্রেমিকের সম্মতিতে শ্বশুড়বাড়ীতে গিয়ে বিয়ের দাবি তোলায় অমানবিক নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে আলো বালা নামে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী।সে দিনাজপুর সরকারি কলেজের মাষ্টার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
বুধবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে এমনই ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়।
হাসপাতালের বেডে চিকিৎসারত নির্যাতিত কলেজছাত্রী আলো বালা জানান,২০০৮সাল থেকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধুলঝাড়ী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক বিপতি পালের ছেলে দিলিপ পালের সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে।এরই এক পর্যায়ে বছর খানেক আগে সে অন্ত:স্বত্তা হয়ে পড়ে।সে সময় তাকে বিয়ের চাপ দিলে সে বলে এভাবে তোমাকে ঘরে তুললে লোকজন খারাপ বলবে,তার চেয়ে এ বাচ্চা নষ্ট করে পরবর্তীতে তোমাকে সামাজিকভাবে বউ হিসেবে ঘরে তুলে নিব।কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় তার পরিবার ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজছে।এসময় প্রেমিক দিলিপ আলো বালাকে তার বাসায় একেবারে চলে আসতে বলে এবং তার কথামতো গত ১০ এপ্রিল বিকালে আলো তাদের বাসায় প্রবেশ করতে গেলে ছেলে,ছেলের বাবা,মা,ভাই সহ পরিবারের লোকজন সকলে মিলে তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।তাদের নির্মম নির্যাতনে এক পর্যায়ে সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়।পরে অসহায় মেয়েটিকে দিলিপের বাড়ীর আঙ্গিনায় ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বালিয়াডাঙ্গী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মো: মোস্তাফিজার রহমান।
এদিকে বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মেয়েটির শারীরিক অবনতি হলে ১৬ এপ্রিল তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।বর্তমানে মেয়েটি সেখানে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছে।
মেয়েটির পরিবার এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।