নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুরে মাইকিং করে রোগাক্রান্ত হাঁস
বিক্রির ঘটনায় এলাকারবাসির মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের সমস গ্রামের মৃত
মোহাম্মদ আলীর পুত্র আব্দুর রহিম ৩ মাস পূর্বেই ২ হাজার হাঁসের বাচ্চা নিয়ে
একটি পল্ট্রি খামার শুরু করেন। গত ৫ জুলাই খামারে হাসগুলি অজ্ঞাত রোগে
আক্রান্ত হয়ে কাপতে থাকে এবং নুলা, নেংড়া শুরু হয়। খামারী আব্দুর রহিম কিছু
হাস মুমূর্ষমান অবস্থায় জবাই করেন। পরে জবাইকৃত হাসগুলি মাইকিং করে
নামমাত্র মুল্যে অসচেতন সাধারণ মানুষের নিকট বিক্রি করেন। একই সঙ্গে
রোগাক্রান্ত হাঁসগুলি স্ব-মুল্যে বিক্রি করেন। ক্রেতার অভাব দেখা দিলে খামার মালিক
আব্দুর রহিম তড়িঘড়ি করে রোগাক্রান্ত হাঁসগুলি পাঁচপীর বাজারে নিয়ে গিয়ে
কম মুল্যে বিক্রি করেন। এ বিষয়ে খামার আব্দুর রহিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে
রোগাক্রান্ত হাঁসগুলি বিক্রি না করার পরামর্শ দেয়া হলে তিনি বলেন, পশু
চিকিৎসক আব্দুস সামাদ মিয়া খামারের হাস কাটা ছেড়া করে পরীক্ষা-নিরাক্ষা
করে বলেছেন খামারের হাঁসে কোন ভাইরাস নেই। তারাতারি বিক্রি করে দিন।
বর্তমানে বগুড়া সদর পশু হাসপাতালে কর্মরত ভ্যাটিনারী র্সাজন আব্দুস সামাদ
মিয়ার সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে মোবাইল জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান,
রোগাক্রান্ত হাস বিক্রি করা যাবে। যে সমস্ত হাস মারা যাবে, মৃত্যু হাঁসগুলি
পুকুর-শিয়ালকেও খায়ানো যাবে না। এগুলো মাটির নিচে পুতে ফেলতে হবে।
এব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ পশু হাসপাতালে কর্মরত ভারপ্রাপ্ত ভ্যাটানারী সার্জন রেবা
বেগমের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, রোগাক্রান্ত
হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল জবাই করে খাওয়া যাবে না। তিনি আরও জানান,
শ্রীপুরের ওই খামার মালিক সুন্দরগঞ্জ পশু হাসপাতালের কোন যোগাযোগ করে
নাই। এলাকার সচেতন মহল রোগাক্রান্ত হাঁস জবাই করে বিক্রি করার ঘটনায়
সুষ্ঠু তদন্ত সাপক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।