নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য
করে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা নদীর কমান্ড এলাকা থেকে অবৈধ
ভাবে পাথর উত্তোলনের রিপোর্ট প্রকাশের জেরে শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের
কাউশা মোড়ে যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিককে অপহরনের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে
প্রকাশ্যে দিবালোকে লাঞ্চিত করেছে অবৈধ পাথর ব্যবসায়ী ও কতিপয়
হাইব্রীড আওয়ামী লীগ নামধারীরা। শুক্রবার দুপুরে ডিমলা সদরের কাউশা
মোড়ে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ডিমলা প্রতিনিধি জাহেদুল ইসলাম
জাহিদকে জোরপুর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা করে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন
ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক, উক্ত ইউনিয়নের সরকার দলীয় মনোনীত ইউপি
চেয়ারম্যান প্রার্থী ময়নুল হক ও টেপাখড়িবাড়ী ২নং ওয়ার্ডের ইউপি
সদস্য নব্য আ”লীগ হাইব্রীড নেতা গোলাম রাব্বানীর,একই এলাকার ১নং
ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শাহাআলমের নেতৃত্বে ২৫/৩০টি মোটর
সাইকেলে অর্ধশতাধিক দুস্কৃতিকারীরা। এ সময়ে স্থানীয় সাংবাদিক
মহিনুল ইসলাম সুজনসহ এলাকার লোকজন উক্ত সাংবাদিককে রক্ষা করতে
ঘটনাস্থলে ছুটে এলে দুস্কৃতিকারীরা তাদের প্রতিও চড়াও হয় এবং
প্রকাশ্যে প্রাননাশের হুমকিসহ সাংবাদিক পেশা নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-
গালাজ করেন। তবে এলাকাবাসী মনে করছেন,বিষয়টি স্থানীয় একটি
প্রভাবশালী বিশেষ মহলের নির্দেশেই ঘটেছে, যা সভ্য সমাজে বে-মানান।এ
দিকে শুক্রবার দিনব্যাপী ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম
বিজিবি, পুলিশকে নিয়ে তিস্তা নদীতে যৌথ অভিযান চালানোর সময়
অনেকে নৌকা পালিয়ে গেলেও একটি মেশিন পেয়ে তা ধ্বংশ করে
দিয়েছেন মর্মে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনার পর থেকে একটি মহল সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান
করে আসছে।তাই উপজেলার সকল সাংবাদিককের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
বিষয়টি ডিমলা থানাকে মৌখিকভাবে অবগত করা হলে ডিমলা থানার
সাবইন্সপেক্টর শাহাবুদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্যঃ গত ১৮ এপ্রিল দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় তিস্তা ব্যারেজ ও বাধ
হুমকিতে শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। উক্ত ঘটনাকে নিয়ে এর
আগে ও পরে দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক জনতা, দৈনিক করতোয়া, দৈনিক নবচেতনা
সহ বিভিন্ন দৈনিকে ও অনলাইননিউজপোর্টাল গুলোতে ভিডিও সহ তিস্তা
নদী হতে ফের অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন নিশ্চিত করে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
উক্ত সংবাদের পর থেকেই সরকার দলীয় আওয়ামীলীগ নেতা ময়নুল হক ও ইউপি
সদস্য গোলাম রাব্বানী যুগান্তর প্রতিনিধিকে বিভিন্নভাবে হয়রানী,
অপহরন, হত্যার চেষ্টা করে আসছে।