অনলাইন ডেস্কঃ
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থী এককভাবে ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় পর্বে গড়াল ভোট। শিল্প-সাহিত্যের তীর্থক্ষেত্র বলে পরিচিত দেশটিতে এবার উগ্র ডান আর মধ্যপন্থার লড়াই হবে।
আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনের প্রার্থী হবেন গতকালের নির্বাচনে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী উগ্র ডানপন্থী নেত্রী ম্যারিন লে পেন ও মধ্যপন্থী নেতা এমানুয়েল ম্যাকরন।
এ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী ১৪ মের মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১১ প্রার্থী লড়াই করছেন। তাঁদের মধ্যে লে পেন ও ম্যাকরন ছাড়াও নির্বাচনে অপর দুই গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী ছিলেন ফ্রাঁসেয়া ফিলন ও জিন লুক ম্যালেনচোন।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত রোববার রাতের প্রকাশিত প্রাথমিক ফলে দেখা গেছে, ম্যাকরন ২৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছেন এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লে পেন পেয়েছেন ২১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ভোট। ফ্রাঁসেয়া ফিলন পেয়েছেন ১৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ আর ম্যালেনচোন পেয়েছেন ১৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ভোট।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নির্বাচনে প্রায় চার কোটি ৭০ লাখ ভোট পড়েছে। এই ভোটের মধ্যে তিন কোটি ৩৬ লাখ ভোট গণনা করা হয়েছে।
এদিকে, প্রথম দফা নির্বাচনের পর দ্বিতীয় দফায় জেতার ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়েছেন ফ্রান্সের সাবেক অর্থমন্ত্রী ম্যাকরন। বিশেষজ্ঞদের মতও তাঁর পক্ষে। কারণ, নির্বাচনে অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে ফিলন উদারপন্থী ও ম্যালেনচোন মধ্যপন্থী বলে পরিচিত।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষে শক্ত অবস্থান নেওয়া ৩৯ বছর বয়সী ম্যাকরন জানিয়েছেন, নির্বাচনে জিতলে তিনি ফ্রান্সের সামাজিক সুরক্ষার কাঠামো আরো জোরদার করবেন।
অন্যদিকে, প্রথমবারের মতো ফ্রান্সে নারী প্রেসিডেন্ট হতে চাওয়া লে পেন ব্রেক্সিটের মতো ফ্রান্সকেও ইইউ থেকে বের করে নিতে চান। ‘অনলি ফ্রান্স’ স্লোগান নিয়ে নির্বাচনে লড়া পেন তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে জানিয়েছেন, ইইউ এবং জোটের একক মুদ্রা ইউরো থেকে দেশকে বের করে নিয়ে যাওয়াই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
এ ছাড়া ফ্রান্সে অভিবাসনবিরোধী অবস্থান নিয়েও নানা সময়ে সমালোচিত হয়েছেন লে পেন।