চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ):
ছাতক সিমেন্ট কারখানায় শ্রমিক নেতা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় থানায় ৬ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে
অপর পক্ষে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন। মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ২২এপ্রিল
দেলোয়ার হোসেন, সাদমান মাহমুদ সানি, কাওছার চিশতি, সৈয়দ বুলবুল, তারেক আহমদও মনু মিয়ার নেতৃত্বে স্থানীয়
কতিপয় লোক ছাতক সিমেন্ট কারখানার ভেতরের অফিস কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। এঘটনায়
কারখানার সহকারি নিরাপত্তা অফিসার শহীদুর রহমান বাদি হয়ে ছাতক থানায় একটি মামলা (নং ১৪, তাং ২২.০৪.২০১৭ইং) দায়ের
করেন। এব্যাপারে পৌরসভার বাগবাড়ি নিবাসি সিমেন্ট কারখানার ঠিকাদার সাদমান মাহমুদ সানি জানান, সম্প্রতি ২লাখ
৫৫হাজার টাকার একটি কাজ পান। একাজের বিপরীতে শ্রমিক নেতা আব্দুল কুদ্দুছ তার কাছে ৫০হাজার টাকা চাঁদা না দাবি
করেন। এনিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ঠিকারদার সানি, সাইড পরিদর্শক তারেক আহমদও মিস্ত্রি মনু মিয়াসহ ৬জনের
বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। এভাবে শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে কারখানার প্রতিটি কাজে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেন
তিনি। তিনি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, চাঁদাবাজি করেই শ্রমিক নেতা কুদ্দুছ এখন রাতারাতি জিরো
থেকে হিরো হয়েছেন। এব্যাপারে শ্রমিক নেতা আব্দুল কুদ্দুছ চাঁদাবাজির ঋভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, লটারীর মাধ্যমে ৫জনে
৫টি কাজ পেয়েছে। তবে অনেক কাজ শতকরা ৫% লেসে নেন ঠিকাদাররা। তবে এমডির এমডির সামনেই তার উপর হামলার ঘটনায়
ম্যানেজমেন্টের পক্ষে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এভাবে তাদের বিরুদ্ধে থানায় আরো একাধিক মামলাও জিডি
রুজু করা হয়। কারখানার এমডি (চদা) প্রকৌশলী আবু সাঈদের সাথে এধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।