বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক: সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকায় পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচী পালন করেছে কয়েকটি সংগঠন, যদিও পুলিশ তাদের মাঝপথে আটকে দিয়েছে।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে দায়ী করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কয়েকটি সংগঠন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা আর সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলো একই সূত্রে গাঁথা বলে তারা মনে করেন।
বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও করার চেষ্টা করলেও পুলিশ রাস্তায় আটকে দেয়।
বুধবার সকালে এসব সংগঠন গুলশান দুই নম্বর চত্বর থেকে পাকিস্তান দূতাবাসের দিকে রওনা দিলেও পুলিশ আটকে দেয়। পরে সেখানেই তারা সমাবেশ করেন।
কর্মসূচীতে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন অংশ নেয়।
গুলশান অঞ্চলের উপ পুলিশ কমিশনার মোশতাক আহমেদ খান বিবিসিকে জানান, “কয়েকটি সংগঠন শান্তিপূর্ণভাবে পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচী পালন করছিল। তবে কূটনীতিক এলাকা হওয়ায় সেখানে মিছিল সমাবেশ করা যায় না। তাই আমরা ব্যারিকেড দিয়ে তাদের সেখানে যেতে বাধা দিয়েছি। তারা কিছুক্ষণ গুলশান চত্বরে অবস্থান করে চলে যান।”
কর্মসূচীটির আয়োজক ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম (অব) বলে “যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বাধা প্রদান এবং সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলো সবই এক সূত্রে গাঁথা। পাকিস্তান এবং ইসরায়েল একে অপরের সাথে মিলে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে যড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশের ক্ষতি করার চেষ্টায় সব পথে ব্যর্থ হয়েছে। এখন আইএসআই এবং মোসাদ মিলে গ্রামেগঞ্জের নিরীহ মানুষজন হত্যা করছে। তার প্রতিবাদ জানাতেই পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচী।”
ইসরায়েলের কোন দূতাবাস বাংলাদেশে না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করা হবে বলে তিনি জানান।
আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম রহমত উল্লাহ বলেন, “নিজামী হত্যাকাণ্ডের পর তারা বিবৃতি দিয়েছে, যুদ্ধাপরাধী বিচারে নাক গলাচ্ছে, এখন দেশের এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনেও তারা ইন্ধন যোগাচ্ছে। তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচী পালন করছি।”
ঘেরাও কর্মসূচীর পর বিভিন্ন সংগঠনের কয়েকশ কর্মী মানবন্ধন করে।