মোবাইল ফোনে পরিচয়, তারপর প্রেম। প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে ঢাকায় এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১২ বছরের এক কিশোরী। রোববার রাত ২টার দিকে রাজধানীর দারুস সালাম দীপনগরের পোড়া বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় কিশোরীর কথিত প্রেমিক মো. আরিফ (২৩) পালিয়ে গেলেও ধর্ষণে অভিযুক্ত আরিফের চাচা রুবেল হোসেনকে (২৬) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
দারুস সালাম থানার এসআই শাহ আলম জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আনুমানিক ৫ মাস আগে ঢাকার বাসিন্দা আরিফের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই কিশোরীর। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। এক পর্যায়ে তারা প্রেমের সর্ম্পক্যে জড়িয়ে পড়েন। আরিফের আহ্বানে গত রোববার বিকেলে বরিশাল থেকে লঞ্চযোগে ঢাকায় আসে মেয়েটি। সদরঘাট লঞ্চঘাটেই তাদের প্রথম দেখা হয়। সেখান থেকে মেয়েটিকে নিয়ে গাবতলীর আমিনবাজারে চাচা রুবেল হোসেনের বাসায় যায় আরিফ। রুবেল হোসেনকে তাদের প্রেমের কাহিনী খুলে বলে প্রেমিকাকে থাকার জায়গা দেয়ার অনুরোধ জানায় আরিফ।
কিন্তু বাসায় মেয়েটিকে রাখা সম্ভব নয় বলে ভাতিজার অনুরোধ ফিরিয়ে দেন রুবেল। এতে নিরাশ হয়ে চাচার কাছে কিশোরী প্রেমিকাকে রেখে গোপনে সটকে পড়েন আরিফ। এদিকে রাতেও ভাতিজা না ফেরায় নিজের ঘরে মেয়েটিকে আশ্রয় দেয় রুবেল হোসেন। রাত ২টার দিকে ওই কিশোরীর উপর পাশবিক নির্যাতন চালায় রুবেল। একপর্যায়ে মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের বাসিন্দারা এসে রুবেলের ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কিশোরীকে। পরে রুবেল হোসেনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন তারা।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ওই কিশোরীকে গুরুতর অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। একটু সুস্থ হলে তার বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই কথিত প্রেমিক আরিফকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও এসআই শাহ আলম জানান।