নুরুল আলম ডাকুয়া, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে কৃষক
হয়রানি ব্যাপক অনিয়ম অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সরকার কৃষকদের নিকট থেকে ধান সংগ্রহের কথা থাকলেও
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল জলিল মন্ডলের যোগসাজসে ব্যবসায়ি দালাল চক্র কৃষকদের
নিকট থেকে কৃষক ভূর্তকির কার্ড ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিয়ে
খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহে অনুমতি পাচ্ছেন। বিনিময়ে ব্যবসায়ি দালাল চক্রটি কৃষক
ভূর্তকি কার্ডের দাম হিসেবে ৩ থেকে ৪শ টাকা কৃষকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।
এতে করে সাধারণ কৃষকরা সরাসরি খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ধানের
ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এদিকে অভিযোগ উঠেছে খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল জলিল মন্ডল
ধান খাদ্যগুদামে সরবরাহের অনুমতি দানের পূর্বে ব্যবসায়িদের নিকট থেকে টন প্রতি
১ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ গ্রহণ করে ধান খাদ্যগুদামে ধান
ঢুকানোর অনুমতি দিয়ে আসছেন। এভাবে উপজেলায় সরকারিভাবে ধান ক্রয় যেন অর্থ
বাণিজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল জলিল মন্ডলের
সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।