নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা শিক্ষা
কর্মকর্তা ও চুনারুঘাট সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্চিত করেন চন্দনা গ্রামের জুয়েল মিয়া ও তার ভাই
চুনারুঘাট সমাজ সেবা অফিসের কর্মরত মাঠকর্মী নাজমুল ইসলাম
সহ তাদের সহযোগী সঙ্গীরা। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উপজেলার
চুনারঘাট সদর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। জানা
যায়, উপজেলা সদরে অবস্থিত চুনারুঘাট সদর সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়টির বেশ কিছু জমি জুয়েল মিয়া গং দীর্ঘদিন যাবত জোরদখল
করে আছে। উক্ত বিদ্যালয়ের উত্তর পার্শ্বে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও
সহাকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারগনের উপস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ
কর্তৃক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মানের কাজ শুরু করতে গেলে
জুয়েল মিয়া গং কোদাল, রড, ইট লাঠি ইত্যাদি অস্র নিয়ে বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং
উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাসান মোহাম্মদ জোনায়েদ এর উপড়
অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময়ে বিদ্যালয়ে ১ম সাময়িক পরীক্ষা চলছিল।
তখন বিদ্যালয়ের সামনে দাড়িয়ে থাকা অনেক অভিভাবকের মাঝে আতংক
চড়িয়ে পড়ে এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরূপ অবস্থায় পুলিশ এসে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এ বিষয়টির খবর দ্রুত উপজেলার কোনায়
কোনায় শিক্ষকগনের কানে পৌছে গেলে সকলেই উপজেলা সদরে জমা
হতে থাকলে এ জমায়েত হঠাৎ করেই বিক্ষোভে রূপান্তরিত হয়। মিছিল
সহকারে শিক্ষকগন ঐ দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক
শাস্তি দাবি করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজাম মুনিরা,
সহকারী কমিশনার ভূমি ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খবর পেয়ে দ্রুত
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দুষ্কৃতিকারীদের বিরোদ্ধ কঠিন ব্যবস্থা
নেয়া হবে মর্মে আশ্বস্থ করলে শিক্ষকগন তাদের মানববন্দন ও বিক্ষোভ
সমাবেশ আপাতত স্থগিত ঘোষনা করেন। কিন্তু শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন
আমাদের আন্দোলন চলবে এবং প্রয়োজনে কঠিন কর্মসূচী ঘোষনা
করা হবে। বেশ কয়েকজন শিক্ষক মন্ডলী থেকে জানা গেছে বিষয়টি নিয়ে
মামলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত
শিক্ষক নেতৃবৃন্দের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বৈঠক
চলছিল।